দিল্লির দূষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চলতি শুনানির সময় উত্তরপ্রদেশের দেওয়া অদ্ভুত যুক্তি শুনে কিছুটা অবাক হয়েছে আদালতও। আদালত পাল্টা উত্তরপ্রদেশ সরকারকে প্রশ্ন করেছে, তাহলে কি এ বার পাকিস্তানের কল-কারখানা বন্ধ করার কথা বলবে যোগী সরকার? উত্তরপ্রদেশ সরকারের হয়ে আদালতে সওয়াল করছিলেন অ্যাডভোকেট রঞ্জিত কুমার। তিনি সওয়াল চলাকালীন বলেন, উত্তরপ্রদেশে বাতাস পাকিস্তানের দিক থেকে আসে এবং পাটনার দিকে যায়। উত্তরপ্রদেশের বাতাস দিল্লিতে যায় না। এই যুক্তি শুনে পাল্টা আদালত বলে, সরকার যেন সরকারের কাজ করে, দূষণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। প্রাকৃতিক নিয়মের দিকে তাদের খেয়াল না রাখলেও চলবে।
advertisement
আরও পড়ুন: হরিয়ানায় কোমর বেঁধে নামছে তৃণমূল, শীঘ্রই খুলছে দলীয় কার্যালয়
এ দিকে কেন্দ্রীয় সরকার রাজধানী ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি বা টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। সরকার শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামা দাখিল করেছে এবং বলেছে যে পাঁচ সদস্যের এনফোর্সমেন্ট টাস্ক ফোর্স এবং ফ্লাইং স্কোয়াডকেও বিশেষ আইনী ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেস্টিনেশন গোয়া! মমতা অভিষেকের জোড়া সফরে কি নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত?
প্রধান বিচারপতি এনভি রমনার নেতৃত্বে একটি বিশেষ বেঞ্চ বলেছে যে দূষণের মাত্রা কমিয়ে আনার জন্য বাস্তবে গুরুতর পদক্ষেপের আশা করা হচ্ছে। “আমরা মনে করি এক দিকে, দূষণের মাত্রা যেমন বাড়ছে, তেমনই অন্য দিকে সেই তুলনায় সরকারের তৎপরতা বাড়ছে না। সময় নষ্ট করছি আমরা। আমরা আপনাদের ২৪ ঘন্টা দিচ্ছি। আমরা চাই আপনি এটিকে গুরুত্ব সহকারে দেখবেন এবং উপযুক্ত সমাধান নিয়ে আসবেন," বলেছে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং সূর্যকান্তের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। বেঞ্চ জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ১০টায় এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে। দিল্লির সরকার একাধিক স্লোগান ও প্রচারের মাধ্যমে দূষণ নিয়ন্ত্রণের কথা বললেও বাস্তবে সেই বিষয়ে সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আদালত।