মথুরায় (Amit Shah in Mathura) বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার আগে বৃন্দাবনের শ্রী বাঁকে বিহারী মন্দির (Shri Banke Bihari Temple) পরিদর্শন করেন অমিত শাহ। সেখানে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবকে (Samajwadi Party chief Akhilesh Yadav) কড়া আক্রমণ করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে “চুল্লু ভর পানি মে ডুব মরো” বলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত শাহ সাফ জানিয়েছেন আইনের বিষয়ে প্রশ্ন তোলার বা কথা বলার অধিকার নেই অখিলেশের। “রাম মন্দির কি অন্য কোন সরকারের অধীনে তৈরি হত?” প্রশ্ন তুলেছেন অমিত শাহ।
advertisement
আরও পড়ুন- খোলা বাজারে কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড বিক্রির অনুমোদন, এবার ওষুধের দোকানে টিকা?
অমিত শাহ (Amit Shah in Mathura) নিজের ভাষণে জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুটিকে তুলে ধরে বলেন, “নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি ছাড়া অন্য কোনো সরকারই উত্তরপ্রদেশ ও দেশকে নিরাপত্তা দিতে পারে না।” “কোই অউর কাশ্মীর কো সমহাল সকতে হ্যায় ক্যায়া?” প্রশ্ন তোলেন অমিত শাহ। “আগে, আলিয়া, মালিয়া, জামালিয়া এসে আমাদের সৈন্যদের হত্যা করত। দেশের নিরাপত্তা আগে আতঙ্কের মুখে ছিল। একজন এসপি নেতা বলেছিলেন কেন আমাদের সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া দরকার? এখন চিন্তা করবেন না, ‘আব পারিন্দা ভি পার না মার সকতা’, বিজেপি সরকার কীভাবে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে এবং জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা সরিয়ে দিয়েছে তা উল্লেখ করে জানান দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মথুরা আর বৃন্দাবন এই দুই শহর লক্ষ লক্ষ মানুষের ভক্তির স্থল। ২০১৪, ২০১৭ এবং ২০১৯ নির্বাচনে সবসময় বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য তিনি উত্তরপ্রদেশের ব্রজ অঞ্চলকে ধন্যবাদ জানান তিনি। পাঁচ বছর আগে কীভাবে অপরাধীরা উত্তরপ্রদেশে রাজত্ব করত আর মহিলাদের নিরাপত্তা বলে কিছুই ছিল না তার উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, এসপি এবং বিএসপি সরকার চিরকালই একটি বিশেষ বর্ণের পক্ষে কাজ করেছে। কিন্তু বিজেপি সরকার সকলের জন্য কাজ করেছে।
আরও পড়ুন- থাকুন ওয়াকিবহল, এক নজরে দেখে নিন আসন্ন বাজেটের দিন এবং সময়ের পঞ্জি!
“সরকার যদি অখিলেশের হাতে থাকে অপরাধীদের রাজত্ব হবে এই রাজ্য। তিনি বলছেন বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেবেন! আপনি যখন নিজের শাসনের সময় বিদ্যুৎই দিতে পারেননি, তখন বিনামূল্যে কীভাবে দেবেন? এসপি-বিএসপি শাসনের দশ বছরে, আখের বকেয়া হিসাবে ৫৫,০০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। আমরা গত পাঁচ বছরে ১.৪৮ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছি,” বলেন অমিত শাহ।