সোমবার আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ দ্বারা প্রকাশিত খসড়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে কোন ধরনের পণ্যে প্রয়োগ করা হবে বাড়তি ট্যারিফ। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২৭ অগস্ট আমেরিকার পূর্বাঞ্চলীয় সময়ে (ইস্টার্ন টাইম জ়োন) রাত ১২টা ১মিনিট থেকে শুল্ক কার্যকর হবে। অর্থাৎ, ভারতীয় সময় অনুসারে, বুধবার সকাল ৯টা ৩১ মিনিট থেকে এই অতিরিক্ত শুল্ক কার্যকর করছে মার্কিন প্রশাসন।
advertisement
রাশিয়ার কাছ তেল কেনার জন্য ভারতকে একরকম শাস্তি দিতেই ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক বসাচ্ছে আমেরিকা। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে ভারতের উপর ২৫% শুল্ক বসানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন। পরে তিনি আরও অতিরিক্ত ২৫% শুল্ক বসানোর কথা ঘোষণা করেন। এই অতিরিক্ত শুল্কোর বোঝা চাপানোকে ‘অন্যাহ্য’ বলে দাবি করে নয়াদিল্লি। তবে ট্রাম্পের শুল্কঅস্ত্রে সামনে মাথা নোয়াতে নারাজ ভারত।
মঙ্গলবারও গুজরাতের আহমেদাবাদের একটি সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের অবস্থান ফের স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘চাপ যতই বাড়ুক, আমরা তার মোকাবিলা করতে আরও শক্তিবৃদ্ধি করে যাব। আত্মনির্ভর ভারতের সংকল্প নিয়েছিলাম। সেই সংকল্পের পথে আমরা অনেক দূর অগ্রসর হয়েছি। দেশ অনেক শক্তিশালী হয়েছে।’’ যদিও ট্যারিফের চাপেও রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ করছে না নয়াদিল্লি।
রাশিয়ায় ভারতের দূত বিনয় কুমার রাশিয়ার রাষ্ট্র-চালিত টিএএসএস সংবাদ সংস্থাকে এক সাক্ষাৎকারে ফের স্পষ্ট করেছেন ভারতের অবস্থান। তিনি বলেন, ‘‘ভারতীয় কোম্পানিগুলি যেখান থেকে সেরা চুক্তি পায় সেখান থেকে কেনা চালিয়ে যাবে। তাই বর্তমান পরিস্থিতি এটাই… আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি যে আমাদের লক্ষ্য ১.৪ বিলিয়ন মানুষের শক্তি নিরাপত্তা এবং রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সহযোগিতা, অন্যান্য অনেক দেশের মতো, তেল বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে সাহায্য করেছে, বৈশ্বিক তেল বাজার।’’