Fighter Jet: ১ রাফালের দামে ৪.৫ প্রজন্মের ৪ টি ফাইটার জেট! ক্ষমতা প্রচুর, ঘিরে ফেলেছিল F-৩৫ কে? ৬২০০০ কোটি টাকার ডিল দেখেই কাঁপছে চিন-পাকিস্তান

Last Updated:
Fighter Jet: কমপক্ষে ২৫০ যুদ্ধবিমানের অভাব রয়েছে। এই অভাব পূরণ করা ভারতের জন‍্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
1/11
ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অভাব রয়েছে যুদ্ধবিমানের। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে আরও সতর্ক নয়াদিল্লি। একদিকে পাকিস্তান, অন‍্যদিকে চিন। শক্তিশালী ‘শত্রু দেশ’র মোকাবিলায় অন‍্যতম অস্ত্র যুদ্ধবিমান। আর সেই ভাঁড়ারেই বড় অভাব নিয়ে খানিক চিন্তায় রয়েছে ভারত।

ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অভাব রয়েছে যুদ্ধবিমানের। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে আরও সতর্ক নয়াদিল্লি। একদিকে পাকিস্তান, অন‍্যদিকে চিন। শক্তিশালী ‘শত্রু দেশ’র মোকাবিলায় অন‍্যতম অস্ত্র যুদ্ধবিমান। আর সেই ভাঁড়ারেই বড় অভাব নিয়ে খানিক চিন্তায় রয়েছে ভারত।
advertisement
2/11
এয়ারফোর্সের কমপক্ষে ৪২ স্কোয়াড্রনের প্রয়োজন, কিন্তু বর্তমান সময়ে শুধুমাত্র ২৯ স্কোয়াড্রন রয়েছে। একটি স্কোয়াড্রনে মোটামুটি ১৮ ফাইটার জেটস থাকে। অর্থাৎ ভারতের প্রায় ৭৫০ আধুনিক ফাইটার জেটস প্রয়োজন। রয়েছে মাত্র ৫০০ ফাইটার জেট।

এয়ারফোর্সের কমপক্ষে ৪২ স্কোয়াড্রনের প্রয়োজন, কিন্তু বর্তমান সময়ে শুধুমাত্র ২৯ স্কোয়াড্রন রয়েছে। একটি স্কোয়াড্রনে মোটামুটি ১৮ ফাইটার জেটস থাকে। অর্থাৎ ভারতের প্রায় ৭৫০ আধুনিক ফাইটার জেটস প্রয়োজন। রয়েছে মাত্র ৫০০ ফাইটার জেট।
advertisement
3/11
অর্থাত্‍ কমপক্ষে ২৫০ যুদ্ধবিমানের অভাব রয়েছে। এই অভাব পূরণ করা ভারতের জন‍্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অভাব মেটানোর দুটি উপায় রয়েছে। এক, বিদেশী কোনও সংস্থার থেকে ফাইটার জেট কেনা। দুই, নিজের দেশি ফাইটার জেটসের উত্‍পাদন দ্রুত করা।
অর্থাত্‍ কমপক্ষে ২৫০ যুদ্ধবিমানের অভাব রয়েছে। এই অভাব পূরণ করা ভারতের জন‍্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অভাব মেটানোর দুটি উপায় রয়েছে। এক, বিদেশী কোনও সংস্থার থেকে ফাইটার জেট কেনা। দুই, নিজের দেশি ফাইটার জেটসের উত্‍পাদন দ্রুত করা।
advertisement
4/11
ভারত এই কঠিন পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় বিকল্পটি বেছে নিয়েছে। এর পিছনে অনেক কারণ রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ দেশি ফাইটার জেটসের কম দাম। ভারত এখন ফাইটার জেটস বানাতে সক্ষম। ভারতে উন্নত তেজস ফাইটার জেটস সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যদিও প্রোডাকশনের গতি খুবই ধীর।
ভারত এই কঠিন পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় বিকল্পটি বেছে নিয়েছে। এর পিছনে অনেক কারণ রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ দেশি ফাইটার জেটসের কম দাম। ভারত এখন ফাইটার জেটস বানাতে সক্ষম। ভারতে উন্নত তেজস ফাইটার জেটস সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যদিও প্রোডাকশনের গতি খুবই ধীর।
advertisement
5/11
ভারতের কাছে এই মুহূর্তে তেজসের তিনটি মডেল রয়েছে। তেজস মার্ক-১, তেজস মার্ক-১A এবং তেজস মার্ক-২। এর মধ্যে তেজস মার্ক-১ এবং মার্ক-১A এর প্রোডাকশন শুরু হয়েছে। তেজস মার্ক-২ এর প্রোডাকশন শুরু হতে চলেছে। এর পাশাপাশি ভারত তার দেশি ফিফথ্ জেনারেশেনের ফাইটার জেটসের উপরও কাজ করছে।

ভারতের কাছে এই মুহূর্তে তেজসের তিনটি মডেল রয়েছে। তেজস মার্ক-১, তেজস মার্ক-১A এবং তেজস মার্ক-২। এর মধ্যে তেজস মার্ক-১ এবং মার্ক-১A এর প্রোডাকশন শুরু হয়েছে। তেজস মার্ক-২ এর প্রোডাকশন শুরু হতে চলেছে। এর পাশাপাশি ভারত তার দেশি ফিফথ্ জেনারেশেনের ফাইটার জেটসের উপরও কাজ করছে।
advertisement
6/11
ভারত সরকার কিছুদিন আগেই আরও ৯৭ তেজস মার্ক-১A ফাইটার জেটস কেনার অনুমতি দিয়েছে। এর জন্য প্রায় ৬২ হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত হয়েছে। এর আগে সরকার ৪৮ হাজার কোটি টাকার খরচে ৪৮ তেজস মার্ক-১A বিমানের কেনার অনুমতি দিয়েছে। অর্থাৎ ভারতীয় বায়ু সেনার বহরে এখন তেজস মার্ক-১A ক্যাটাগরির মোট ১৮০ বিমান থাকবে। এদের থেকে ১০ স্কোয়াড্রন তৈরি হবে। এইভাবে সুখোইয়ের পরে বায়ু সেনায় এই বিমানের সবচেয়ে বড় বহর হবে। এর পাশাপাশি ভারতীয় বায়ু সেনার পরিকল্পনা ২০০ তেজস মার্ক-২ বিমান কেনার।
ভারত সরকার কিছুদিন আগেই আরও ৯৭ তেজস মার্ক-১A ফাইটার জেটস কেনার অনুমতি দিয়েছে। এর জন্য প্রায় ৬২ হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত হয়েছে। এর আগে সরকার ৪৮ হাজার কোটি টাকার খরচে ৪৮ তেজস মার্ক-১A বিমানের কেনার অনুমতি দিয়েছে।
অর্থাৎ ভারতীয় বায়ু সেনার বহরে এখন তেজস মার্ক-১A ক্যাটাগরির মোট ১৮০ বিমান থাকবে। এদের থেকে ১০ স্কোয়াড্রন তৈরি হবে। এইভাবে সুখোইয়ের পরে বায়ু সেনায় এই বিমানের সবচেয়ে বড় বহর হবে। এর পাশাপাশি ভারতীয় বায়ু সেনার পরিকল্পনা ২০০ তেজস মার্ক-২ বিমান কেনার।Image: AP
advertisement
7/11
এই দেশি ফাইটার জেটস্ বেশ সাশ্রয়ী প্রমাণিত হচ্ছে। সরকার মোট ১.১০ লাখ কোটি টাকার খরচে মোট ১৮০ ফাইটার জেটস কিনছে। অর্থাৎ গড়ে একটি ফাইটার জেটের দাম প্রায় ৬১১ কোটি টাকা। বিদেশি কোম্পানির একটি ফাইটার জেটের দাম গড়ে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে ভারতের অন‍্যতম অস্ত্র রাফেল।
এই দেশি ফাইটার জেটস্ বেশ সাশ্রয়ী প্রমাণিত হচ্ছে। সরকার মোট ১.১০ লাখ কোটি টাকার খরচে মোট ১৮০ ফাইটার জেটস কিনছে। অর্থাৎ গড়ে একটি ফাইটার জেটের দাম প্রায় ৬১১ কোটি টাকা। বিদেশি কোম্পানির একটি ফাইটার জেটের দাম গড়ে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে ভারতের অন‍্যতম অস্ত্র রাফেল।
advertisement
8/11
২০১৬ সালে রাফেল ফাইটার জেটস কেনা নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে ডিল করেছিল ভারত সরকার। সেই সময় ৩৬ ফাইটার জেটসের চুক্তি হয়েছিল এবং এর জন্য ভারত সরকারকে প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকা দিতে হয়েছিল। এই বছর এপ্রিল মাসে ভারত সরকার ২৬ মেরিন রাফেল বিমান কেনার চুক্তি করেছে। এই চুক্তি প্রায় ৬৩ হাজার কোটি টাকার।
২০১৬ সালে রাফেল ফাইটার জেটস কেনা নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে ডিল করেছিল ভারত সরকার। সেই সময় ৩৬ ফাইটার জেটসের চুক্তি হয়েছিল এবং এর জন্য ভারত সরকারকে প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকা দিতে হয়েছিল। এই বছর এপ্রিল মাসে ভারত সরকার ২৬ মেরিন রাফেল বিমান কেনার চুক্তি করেছে। এই চুক্তি প্রায় ৬৩ হাজার কোটি টাকার।
advertisement
9/11
অর্থাৎ এই মুহূর্তে মেরিন ফাইটার জেটের দাম ২৪০০ কোটি টাকার বেশি। দুইয়ের দামের তুল‍্যমূল‍্য বিচার করলেই বোঝা যাবে মেরিন রাফেলের দামে সহজেই কমপক্ষে ৪ দেশি তেজস ফাইটার আসবে। ভারতের এই দেশি চুক্তি দেখে রাশিয়া এবং ফ্রান্স মতো দেশ চিন্তিত হতে পারে। কারণ এই চুক্তির পরে এই দেশগুলো থেকে ভারতের ফাইটার জেটস কেনার সম্ভাবনা অনেক কম হয়ে গিয়েছে।
অর্থাৎ এই মুহূর্তে মেরিন ফাইটার জেটের দাম ২৪০০ কোটি টাকার বেশি। দুইয়ের দামের তুল‍্যমূল‍্য বিচার করলেই বোঝা যাবে মেরিন রাফেলের দামে সহজেই কমপক্ষে ৪ দেশি তেজস ফাইটার আসবে। ভারতের এই দেশি চুক্তি দেখে রাশিয়া এবং ফ্রান্স মতো দেশ চিন্তিত হতে পারে। কারণ এই চুক্তির পরে এই দেশগুলো থেকে ভারতের ফাইটার জেটস কেনার সম্ভাবনা অনেক কম হয়ে গিয়েছে।
advertisement
10/11
পারফরম্যান্স এবং শক্তির গুণমানে বিশেষজ্ঞরা দেশি তেজস ফাইটার জেটসকে ভাল নম্বর দিচ্ছেন। এতে অনেক অসাধারণ বৈশিষ্ট্য আছে। ফিফথ্ না হলেও এগুলি এটি চার থেকে সাড়ে চার প্রজন্মের বিমান। যদিও, এদের রাফেলের বিকল্প হিসেবে গণ্য করা যায় না কারণ রাফেল অনেক ক্ষেত্রে পঞ্চম প্রজন্মের আমেরিকান ফাইটার জেট এফ-৩৫ কে টক্কর দেয়।
পারফরম্যান্স এবং শক্তির গুণমানে বিশেষজ্ঞরা দেশি তেজস ফাইটার জেটসকে ভাল নম্বর দিচ্ছেন। এতে অনেক অসাধারণ বৈশিষ্ট্য আছে। ফিফথ্ না হলেও এগুলি এটি চার থেকে সাড়ে চার প্রজন্মের বিমান। যদিও, এদের রাফেলের বিকল্প হিসেবে গণ্য করা যায় না কারণ রাফেল অনেক ক্ষেত্রে পঞ্চম প্রজন্মের আমেরিকান ফাইটার জেট এফ-৩৫ কে টক্কর দেয়।
(File Photo)
advertisement
11/11
কিছুদিন আগেরই ঘটনা। সূত্রের খবর, একটি যুদ্ধাভ্যাসে এফ-৩৫ কে লক করে দিয়েছিল দেশী প্রযুক্তিতে তৈরি এই বিমান। অর্থাৎ এটি এফ-৩৫ কে পুরোপুরি ঘিরে ফেলেছিল। এই ঘটনাকে বিশ্বের ফাইটার জেটস বিশেষজ্ঞরা অসাধারণ বলেছিলেন।
কিছুদিন আগেরই ঘটনা। সূত্রের খবর, একটি যুদ্ধাভ্যাসে এফ-৩৫ কে লক করে দিয়েছিল দেশী প্রযুক্তিতে তৈরি এই বিমান। অর্থাৎ এটি এফ-৩৫ কে পুরোপুরি ঘিরে ফেলেছিল। এই ঘটনাকে বিশ্বের ফাইটার জেটস বিশেষজ্ঞরা অসাধারণ বলেছিলেন।
advertisement
advertisement
advertisement