আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশে দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঠাঁই নেই: রামনবমীর মিছিলে হিংসা বিষয়ে দাবি যোগীর
“যদি মাইক ব্যবহার করাও হয় তবে নিশ্চিত করুন যাতে সেই শব্দে অন্য মানুষদের কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়,” বলেন যোগী। নতুন জায়গায় লাউডস্পিকার বাজানোর অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। অনুমতি ছাড়া কোনও ধর্মীয় মিছিল বের করাও উচিত নয়। অনুমতি দেওয়ার আগে, আয়োজকের কাছ থেকে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার বিষয়ে হলফনামা নেওয়া উচিত বলেই মনে করেন যোগী আদিত্যনাথ।
advertisement
“শুধুমাত্র সেইসব ধর্মীয় মিছিলের অনুমতি দেওয়া উচিত, যা ঐতিহ্যবাহী। নতুন অনুষ্ঠানের অপ্রয়োজনীয় অনুমতি দেওয়া উচিত নয়,” যোগ করেন আদিত্যনাথ। শনিবার দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী এলাকায় হনুমান জয়ন্তীর মিছিলের সময় হিংসার ঘটনা এবং পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, গুজরাতে রাম নবমীর সমাবেশে হিংসার ঘটনার পরেই এমনটা জানিয়েছেন তিনি।
সমস্ত আধিকারিকদের যোগী নির্দেশ দিয়েছেন, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং পুজো কেবলমাত্র নির্ধারিত স্থানেই অনুষ্ঠিত হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে রাস্তা বা যানবাহনের সমস্যা করে যেন কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান না ঘটে। ৪ মে পর্যন্ত সমস্ত পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং ছুটিতে থাকা সকলকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট করতেও নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- আম্বেদকরের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সমস্ত চেষ্টা করবে উত্তরপ্রদেশ সরকার: যোগী
সংবেদনশীল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা এবং পরিস্থিতির উপর নজর রাখার জন্য ড্রোন ব্যবহার করা উচিত বলেই মনে করেন যোগী। পাশাপাশি প্রতি সন্ধ্যায় পুলিশ বাহিনীকে হেঁটে টহল দিতে এবং পুলিশ রেসপন্স ভেহিকলকেও (PRV) সক্রিয় থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন যোগী।
“উত্তরপ্রদেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা আমাদের সকলের প্রাথমিক দায়িত্ব, আমাদের এই দায়িত্ব সম্পর্কে সর্বদা সতর্ক এবং সচেতন থাকতে হবে,” বলেন আদিত্যনাথ। “যারা পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে তাদের কঠোর হাতে মোকাবিলা করা উচিত। একটা সভ্য সমাজে এই ধরনের মানুষদের কোনও স্থান থাকার কথা নয়,” বলেন যোগী।