আরও পড়ুন- প্রথম নির্বাচনেই পঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রীকে হারালেন মোবাইল মেকানিক লাভ সিং উগোকে!
সন্ধ্যায় একাধিক ট্যুইট বার্তায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢ়রা (Priyanka Gandhi Vadra) বলেন, “কঠোর পরিশ্রমকে ভোটে রূপান্তর করতে ব্যর্থ হয়েছে আমাদের দল”। একটি ট্যুইটে প্রিয়াঙ্কা বলেন, “গণতন্ত্রে জনগণের ভোট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কর্মী নেতারা কঠোর পরিশ্রম করেছেন, সংগঠন গড়েছেন, জনগণের সমস্যা নিয়ে লড়াই করেছেন। কিন্তু, আমরা আমাদের পরিশ্রমকে ভোটে রূপান্তরিত করতে পারিনি।”
advertisement
দ্বিতীয় একটি পোস্টে প্রিয়াঙ্কা (Priyanka Gandhi Vadra) বলেন, কংগ্রেস “ইউপি এবং জনসাধারণের উন্নতির জন্য ইতিবাচক কর্মসূচি” অনুসরণ করছে এবং “সম্পূর্ণ দায়িত্ব সহকারে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত বিরোধীদের দায়িত্ব পালন করবে।”
প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢ়রা ‘লড়কি হুঁ লড় সকতি হুঁ’ ক্যাচ লাইনের মাধ্যমে নারী-ভিত্তিক প্রচারে এই নির্বাচনে নেমেছিলেন। কিন্তু আজ, রাজ্যের মহিলাদের তাঁদের ভোটের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে বিজেপি। বিজেপির ইঙ্গিত স্পষ্ট যে তারা মহিলাদের কল্যাণমূলক পরিকল্পনা এবং রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার উন্নতির জন্য পদক্ষেপ করে মহিলাদের কৃতজ্ঞতা এবং আস্থা অর্জন করতে পেরেছে।
নিজের বিজয়ী বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Chief Minister Yogi Adityanath) বলেন, “আমরা নারীদের ক্ষমতায়ন এবং তাদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করেছি। আমাদের প্রকল্পগুলি মহিলাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করেছে। এতেই প্রমাণিত আমরা কী ধরনের কাজের জন্য দাঁড়িয়েছি এবং সেই কাজ করেও দেখিয়েছি। এবং আমরা এমনটা করতেই থাকব।”
আরও পড়ুন- জোট গড়েও হার অখিলেশের, যোগীকে 'গোরখপুরে ফেরত' পাঠাতে ব্যর্থ সমাজবাদী পার্টি!
ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতে না হতেই নিজেদের ভরাডুবি দেখে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধির ভাই রাহুল গান্ধি। “জনগণের রায় মেনে নিন। যারা জিতেছেন তাঁদের জন্য শুভকামনা রইল। তাঁদের কঠোর পরিশ্রম এবং প্রচেষ্টার জন্য সমস্ত কংগ্রেস কর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা রইল। আমরা এর থেকে শিক্ষা নেব এবং ভারতের জনগণের স্বার্থে কাজ করতে থাকব।” ট্যুইট করেছেন রাহুল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরে দলের শীর্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করেন রাহুল।