সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বলেছেন, 'এই বাজেট থেকে গরীব, চাকরির সন্ধানে থাকা অথবা ছাঁটাই হওয়া যুব সম্প্রদায়, গৃহবধু, করদাতাদের কোনও সুরাহা দেওয়া হয়নি।' প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর ভাষায়, 'এটি এমন একটি নির্দয় বাজেট, যেখানে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।' অধীর চৌধুরী আরও বলেন, "এই প্রথম একটি বাজেট হল যেখানে কৃষকদের জন্য কিছু নেই। এম এস পি নিয়ে কোনও উল্লেখ নেই।" তাঁর কথায়, কখনও বলা হচ্ছে ২০২৬ সালে হবে, কখনও বলা হচ্ছে ২০৩৫ সালে হবে। এখন কী হবে সেটা নিয়ে কিছু বলা হচ্ছে না।
advertisement
আরও পড়ুন: অনুব্রত ছাড়া বীরভূম সামলাবে কে? চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বিরাট ঘোষণা মমতার! কেঁপে গেল বাংলা
বাজেটের সমালোচনা করেছে তৃণমূলও। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, 'কোনও কর ছাড় দেওয়া হয়নি।' তাঁর কথায়, "কেন্দ্রের বাজেট দিকে তাকিয়ে ছিলাম। ভেবেছিলাম অনেক কিছু বলবেন। দরিদ্র মানুষের কথা ভেবে বাজেট হয়নি। ভোটমুখী রাজ্যের কথা ভেবে বাজেট হয়েছে। বিশেষ করে একটি রাজ্যের কথা তো উল্লেখ হয়েছে৷ অনেক ফাঁক ধরা পড়েছে।" রাজ্যের মন্ত্রী আরও বলেন, "আসলে কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি। কর কাঠামোয় একটা ট্যুইস্ট আছে। নতুন কর কাঠামোর কথা বলা হয়েছে। একদিকে বলছে ছাড়। অন্যদিকে, মুদ্রাস্ফীতি কমানোর কথা বলা নেই। এই করের ছাড়ে ফলে মানুষের লাভ নেই। হঠাৎ আলোর ঝলকানি। আসল ফল মানুষ পাবেন না।"
আরও পড়ুন: আজ বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা মুখ্যমন্ত্রীর, হতে পারে বড় ঘোষণা! তৎপরতা তুঙ্গে
কেন্দ্রকে নিশানা করে তিনি বলেন, "আবাসে বরাদ্দ বাড়লেই তো হবে না। সেটাকে তো খরচে আনতে হবে। আমাদের রাজ্যই তো পায়নি। ১১ লাখ ৩৬ হাজারের জন্য বরাদ্দ অর্থ আসেনি। বরাদ্দ আর বাস্তবে টাকা দেওয়ার মধ্যে ফারাক আছে৷ বাংলার জন্য আর বিজেপির শাসিত রাজ্যের মধ্যে ওরা ফারাক করে।"