৫১ পীঠের একপিঠ ত্রিপুরা সুন্দরী দেবী। ৫২২ বছরের পুরনো এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর দীপাবলি উৎসব ও মেলার আয়োজন হয়। ত্রিপুরার ১৪৫তম মহারাজা ধন্য মানিক্য ১৫০১ খ্রিস্টাব্দে ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির স্থাপন করেন। মন্দিরে দেবী প্রতিমা কষ্টি পাথরে নির্মিত। দেবীর মূর্তি উচ্চতায় এক মিটার ৫৭ সেন্টিমিটার, প্রস্থ ৬১ সেন্টিমিটার। ১৯৪৯ সালে ত্রিপুরা রাজ্য ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়, সেই সময় ত্রিপুরার রানী কাঞ্চন প্রভাদেবীর অন্যতম শর্ত ছিল কয়েকটি মন্দিরের পরিচালনার ভার সরকারকে নিতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার শর্তে রাজি হয়। এরপরই রাজ্য সরকার ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরের পরিচালনার দায়িত্ব নেয়।
advertisement
আরও পড়ুন- নায়ক না নায়িকা? ফ্রক পরা এই খুদে বিখ্যাত পরিবারের সন্তান! কাঁপাচ্ছে টলিউডও, বলুন তো কে এই তারকা?
পদাধিকারবলে মন্দিরের সেবায়েত গোমতী জেলার জেলাশাসক। ২০১৮ সালের নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর মাতাবাড়ি মন্দির পরিচালনার জন্য একটি ট্রাস্ট গঠন করে রাজ্য সরকার। সরকার পরিচালিত মন্দিরের সমস্ত কাজ হলেও আজকের দিনেও রাজপরিবারের বর্তমান প্রতিনিধি প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মনের নামে পুজোর অর্ঘ্য আহুতি হয়।কথিত যে ত্রিপুরার এই অংশে দেবীর ডান পায়ের অংশ পড়েছিল। দেবীকে এখানে ষোড়শী রূপে পুজো করা হয়। অর্থাৎ দেবী এখানে ১৬ বছরের এক বালিকা। কালিকা পূরাণে কালীকে দশমহাবিদ্যা রূপে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘হবু বউকে কন্ট্রোলে রেখো’, সৌম্যকে উপদেশ সৌরভের, শুনে কী বললেন সন্দীপ্তা?
এই দশমহাবিদ্যা হলেন — কালী, তারা, ষোড়শী, ভুবনেশ্বরী, ভৈরবী, ছিন্নমস্তা, ধূমাবতী, মাতঙ্গী, বগলা এবং কমলা।এই মন্দিরের একটি বিশেষত্ব রয়েছে। এখানে মন্দিরের স্থানটি কচ্ছপের পিঠের আকারের। মূল বিগ্রহের পাশে রয়েছে আরও একটি ছোট বিগ্রহ। তাঁকে বলা হয় ছোট মা। মহারাজা যখন যুদ্ধে যেতেন বা শিকারে যেতেন এই ছোট মা’কে সঙ্গে নিয়ে যেতেন পুজো করার জন্য। কারণ তাঁর মাতৃভক্তি ছিল প্রবল। কালীপুজোর সময় তিন দিন ব্যাপী বিরাট মেলা হয় এই মন্দিরকে ঘিরে।এখানে প্রধান ভোগ হিসাবে দেওয়া হয় প্যাঁড়া।