ত্রিপুরা তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক জানিয়েছেন, "বারবার প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করার জন্যে চাপ দিচ্ছিল বিজেপি। আমরাই একমাত্র দল যারা আগরতলার ৫১ ওয়ার্ডেই প্রার্থী দিতে পেরেছি। এখন যাতে প্রচার করতে না পারি, তাই প্রতিদিন ভয় দেখানো হচ্ছে৷ প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অত্যাচার করছে৷ সব জেনে শুনেও প্রশাসন নীরব। কোনও অভিযোগ গ্রহণ করছে না।"
advertisement
আরও পড়ুন-রাজস্থান মন্ত্রিসভায় রদবদল, দিল্লিতে দরবার গেহলট ও পাইলটের!
তৃণমূল কংগ্রেস যে লড়াইয়ের মঞ্চ ছেড়ে যাবে না দায়িত্ব নিয়ে তা অবশ্য বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজীব বন্দোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ত্রিপুরার নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে, “বিজেপি যদি তৃণমূলের উপর আক্রমণ করে, তবে আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকব এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই।” রাজীবের হুঙ্কার, “তৃণমূলও কিন্তু পাল্টা দিতে জানে। তবে আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী। কিন্তু ভদ্রতাকে দুর্বলতা ভাবলে ঠিক হবে না।”
আরও পড়ুন-অগ্রগণ্য কলকাতা, ২০৩০-এর মধ্যে ই-ভেহিকেলে শহর ভরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মন্ত্রীর
এদিন ত্রিপুরার কর্মী ও প্রার্থীদের মানসিকতাকে অভিনন্দিত করেন রাজীব। এইসঙ্গে তাদের পাশে থাকার বার্তা দেন। বলেন, “কেউ নিজেকে একলা না ভাববেন না। কারও ওপর হামলা হলে সব স্তরের নেতৃত্ব ও কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়বেন।”বিজেপি শিবির অবশ্য তৃণমূলের এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপি নেত্রী অস্মিতা বণিক জানিয়েছেন, আগরতলা পুরসভা এলাকায় ৫১ আসনেই তৃণমূল প্রার্থী দিতে পেরেছে। তার মানে রাজ্যে গণতন্ত্রের পরিবেশ আছে। সন্ত্রাস করে আমাদের ভোটে জিততে হয় না। মানুষ সারাবছর আমাদের সাথেই থাকে৷ তৃণমূল আর সিপিএম এখানে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।এই রাজনৈতিক তরজার মধ্যেই ফের আরেকবার সভা করতে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।