বক্সনগর এলাকায় এক যোগদান সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথাগুলো বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা। বিজেপির উদ্যোগে বক্সনগরে এক মেগা যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় প্রায় ৪ হাজার ভোটার কংগ্রেস, সিপিআইএম এবং তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে এদিন বিজেপি দলে যোগদান করেন। তাদের হাতের দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
advertisement
আরও পড়ুন– বড় কোনও সিদ্ধান্তের পথে রাজ্যপাল? আজ ফের উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠকে রাজ্যপাল
এদিন সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘বিজেপি ভারতের সর্ববৃহৎ দল, যার সদস্য সংখ্যা ১৭কোটির বেশি। বিশ্বের আর কোনও দলের এত সংখ্যক সদস্য নেই। প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সরকার দেশকে উন্নয়নের সঠিক দিশায় এগিয়ে নিয়ে চলছেন, তাই অন্যান্য দল ছেড়ে ভোটাররা প্রতিদিন বিজেপিতে শামিল হচ্ছেন। উত্তর থেকে দক্ষিণ হোক বা সিপাহীজলা, সব জায়গাতেই মানুষের মধ্যে বিজেপিকে ঘিরে স্পন্দন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মানুষ এখন আর অন্য কোনও কথা শুনতে রাজি নন। কারণ মানুষ কংগ্রেস সিপিআইএম ও তৃণমূল কংগ্রেসকে দেখেছে, এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিজেপির কাজ দেখে মানুষ আস্থা হয়েছে, তারা বুঝতে পেরেছেন যদি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, দেশকে বাঁচাতে ও শক্তিশালী করতে হয় তবে বিজেপিকে মজবুত করতে হবে। বিশেষ করে দলিত, পিছিয়ে পড়া ও মহিলাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে ও শক্তিশালী করতে হলে বিজেপি ছাড়া অন্য কোনও দলের পক্ষে সম্ভব নয়।’’
আরও পড়ুন-লোকসভা নির্বাচনে মহিলা ভোট ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ শাসক দলের
তিনি আরও বলেন, ‘‘বিজেপির মূল লক্ষ্য হচ্ছে উন্নয়ন ৷ প্রধানমন্ত্রীও দেশের উন্নয়নের জন্য সব কাজ করছেন। তিনি যখনই বিদেশে যান, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা তাঁকে ‘বস’ বলে সম্বোধন করছেন ৷ অনেকে আবার পায়ে ধরে নমস্কার করছেন। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিভিন্ন সময় জাতির জনজাতি এবং সংখ্যালঘু মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে একটি চক্র। তাই এদিকে সতর্ক থাকার আহবান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের লক্ষ্যে এক্ট ইস্ট পলিসি গ্রহণ করেছেন তা অনস্বীকার্য। রাজ্যের উন্নয়নের জন্য ছয়টি নতুন জাতীয় সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে, আরও নতুন নতুন জাতীয় সড়ক তৈরি করা হবে। সারা রাজ্যকে সংযুক্ত করার জন্য একের পর এক কাজ চলছে। সেই সঙ্গে ইন্টারনেট পরিষেবাকেও গতিশীল করা হয়েছে। ভারতের তৃতীয় উচ্চ গতির ইন্টারনেট সংযোগকারী লাইন ত্রিপুরা রাজ্যে রয়েছে। রেল পরিষেবার অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে, আগরতলা থেকে ১২টি এক্সপ্রেস ট্রেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়মিত ভাবে চলাচল করছে। উন্নয়ন কিভাবে করতে হয় তা নরেন্দ্র মোদি নিজে প্রমাণ করে দিয়েছেন।