ত্রিপুরা পুলিশের দাবি, শনিবার রাতে সায়নী ঘোষের গাড়ির ধাক্কায় একজন আহত হয়েছেন। সেই সূত্রেই তাঁকে খুঁজতে হোটেলে হাজির হয় পুলিশ। সায়নী সহ বাকি তৃণমূল নেতারা সেখানেই পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু তাতে সমস্যা মেটেনি। তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রত্যেক নেতাই থানায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
বিগত কয়েকদিনে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ত্রিপুরার পরিস্থিতি। গতকালই আগরতলা পুরসভার দশ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দ্রনগরে তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেবের হয়ে প্রচারে করছিলেন ফিরহাদ হাকিম ও বাবুল সুপ্রিয়। তৃণমূলের সভা চলাকালীন তাদের মঞ্চের মাইক ও আলো বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অথচ ওই সভার পাশেই বিজেপির সভায় আলো, মাইক সবই ছিল। শুধু তাই নয়, আগরতলা পুরসভায় দশ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেবকেও আক্রমণ করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি-র বিরুদ্ধে৷ আক্রান্ত তৃণমূল প্রার্থী হাসপাতালে ভর্তি।
advertisement
আরও পড়ুন: বাংলার সংগঠনে ফাঁকফোঁকর কোথায়, সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে ফোনে অমিত শাহ
আরও পড়ুন: তৃণমূলের সভায় নিভল আলো, বাবুল- ফিরহাদকে ঘেরাও! পুরভোটের আগে তপ্ত ত্রিপুরা
বিজেপি কর্মীরা বাবুল সুপ্রিয় এবং ফিরহাদ হাকিমর উপরও হামলা করে বলে অভিযোগ। তাঁরা সেই সভা থেকে বেরোতে চাইলেও তাঁদের ঘিরে ধরা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের সভামঞ্চও ভেঙে দেওয়া হয়৷ তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ''এই ভাবে অশান্তিতে প্ররোচনা দেওয়াটা অত্যন্ত অন্যায়৷ আমি পুলিশকে পাঁচ মিনিট সময় দিয়ে বলেছিলাম বিজেপি সমর্থকদের ওই জায়গা থেকে সরিয়ে দিতে৷ কিন্তু তারা তা করেনি। আমাদের মহিলা প্রার্থীর গায়েও হাত দেওয়া হচ্ছে৷' যদিও তৃণমূলের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে বিজেপি৷ বিজেপি নেতা নব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, 'ওখানে আগে থেকেই বিদ্যুতের সমস্যা ছিল, তার কাজও চলছিল৷ এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই৷ আর কাউকে ঘেরাও করাটা তো রাজনীতিরই অঙ্গ৷' সেই ঘটনার রেশ মিটতে-মিটতেই এবার সায়নী ঘোষকে খুঁজতে হোটেলে হানা দিল পুলিশ।