#আগরতলা: শুধু তাই নয়, আগরতলা পুরসভায় দশ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেবকেও আক্রমণ করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি-র বিরুদ্ধে৷ আক্রান্ত তৃণমূল প্রার্থী হাসপাতালে ভর্তি (TMC BJP Clash in Tripura)৷
আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় পুরভোট (Tripura Civic Polls)৷ ভোট প্রচারে অংশ নিতে ত্রিপুরায় পৌঁছেছেন বাবুল সুপ্রিয়, ফিরহাদ হাকিমরা৷ এ দিন আগরতলা পুরসভার দশ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দ্রনগরে তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেবের হয়ে প্রচারে আসেন ফিরহাদ হাকিম ও বাবুল সুপ্রিয়। তৃণমূলের সভা চলাকালীন তাদের মঞ্চের মাইক ও আলো বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ অথচ কিছু দূরেই বিজেপির সভায় আলো, মাইক সবই ছিল।
আরও পড়ুন: রোগী কল্যাণ সমিতিতে ফিরলেন নির্মল, শান্তনুরা! রাজ্য জুড়েই শাসক নেতাদের অগ্রাধিকার
তৃণমূলের সভা চলাকালীনই বিজেপি কর্মীরা মিছিল বের করে। সভা শেষ হয়ে যাওয়ার পর বিজেপি কর্মীরা বাবুল সুপ্রিয় এবং ফিরহাদ হাকিমর উপর হামলা করে বলে অভিযোগ। তাঁরা সভা থেকে বেরোতে চাইলে তাঁদের ঘিরে ধরা হয়। অভিযোগ, তৃণমূলের সভার মঞ্চও ভেঙে দেওয়া হয়৷ পরে তৃণমূলের মহিলা প্রার্থী পান্না দেবের উপরেও হামলা চালানো হয়৷ বর্তমানে পান্না দেব জি বি হাসপাতালে ভর্তি।
তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয়র অভিযোগ, 'এই ভাবে অশান্তিতে প্ররোচনা দেওয়াটা অন্যায়৷ আমি পুলিশকে পাঁচ মিনিট সময় দিয়ে বলেছিলাম বিজেপি সমর্থকদের সরিয়েদিতে৷ কিন্তু তারা কিছুই করেনি৷ আমাদের মহিলা প্রার্থীর গায়েও হাত দেওয়া হচ্ছে৷'
আরও পড়ুন: 'আজ জয়ী হলে তোমরা...', কৃষি আইন বাতিল হতেই কবিতায় 'স্বপ্ন' মমতার!
তৃণমূলের সভা শুরু হওয়ার আগে থেকেই মাত্র দশ মিটার দূরে বাবুল সুপ্রিয়র গান জোরে জোরে বাজাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা৷ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দলের কর্মী, সমর্থদের মধ্যে হাতাহাতিও হয়৷ বিশাল পুলিশবাহিনী উপস্থিত থাকলেও তাঁরা কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা নেয় বলে অভিযোগ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে পরে ঘটনাস্থলে আসে সিআরপিএফ-ও৷
যদিও তৃণমূলের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে বিজেপি৷ বিজেপি নেতা নব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, 'ওখানে আগে থেকেই বিদ্যুতের সমস্যা ছিল, তার কাজও চলছিল৷ এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই৷ আর কাউকে ঘেরাও করাটা তো রাজনীতিরই অঙ্গ৷'
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।