মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যে স্বাস্থ্য, কৃষি, পর্যটন, ক্রীড়া সহ সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে ত্রিপুরা। আমরা চাই ত্রিপুরায় একটা সুস্থ পরিবেশ তৈরি করতে। ২০১৪-তে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই সুযোগ তৈরি হয়েছে। এর আগে এমন পরিবেশ তৈরি হয়েছিল যে দেশ টিকবে কি টিকবে না সেটা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছিল। আমাদের সৈনিকদের গলা কেটে ফেলে দিয়ে যেত পাকিস্তানের হার্মাদ বাহিনী। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ঘরে ঢুকে যেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছে এর পর থেকে আর শব্দ নেই।’’
advertisement
আরও পড়ুন– শনি-রবিবার হাওড়া ডিভিশনে বাতিল থাকছে একাধিক লোকাল ট্রেন! ফের যাত্রী ভোগান্তির আশঙ্কা
ডাঃ সাহা এদিন আরও বলেন, ‘‘প্রতিটি রাজ্য উন্নত হলে দেশও উন্নত হবে। ত্রিপুরাতে বিরোধীরা প্রায় বলে এখানে আইন শৃঙ্খলার অবনতির কথা। তাই আমি তথ্য দিয়ে বলি যে দেশের ২৮টি রাজ্যের মধ্যে আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থায় নিচের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ত্রিপুরা। তাহলে কোথায় আইন শৃঙ্খলার সমস্যা? আমরা দেখেছি আমাদের জাতি জনজাতির মধ্যে একটা বিভেদ সৃষ্টি করার চক্রান্ত করা হয়েছে। যেমন গন্ডাতুইসার ঘটনা। আমি নিজে সেখানে গিয়েছি এবং তিনদিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। একইভাবে কুর্তি কদমতলাতেও এমন ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা হয়েছিল।’’
ডাঃ সাহা বলেন, ‘‘মা বোনেদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন কিভাবে আরও করা যায় সেই ভাবনা নিয়ে কাজ করছে সরকার। মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবার কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার ধাঁচে ত্রিপুরাতে একমাত্র রাজ্য হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা চালু করা হয়। কিছুদিন আগে জেআরবিটির মাধ্যমে চাকরি প্রদানের ব্যবস্থা হয়েছে। এরআগে গ্রুপ সি পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে এসব চাকরি দেওয়া হয়েছে। অথচ আগে চাকরি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আদালতে মামলা হত। ২০১৮ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৬ হাজারের অধিক সরকারি চাকরি প্রদান করা হয়েছে। এর পাশাপাশি যুবদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করার লক্ষ্যেও কাজ করছে সরকার।’’