অত্যন্ত ব্যতিক্রমীভাবে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা তখনই ওই বৃদ্ধাকে ফেলে বিলোনীয়ায় কর্মসূচির উদ্দেশ্যে রওনা হননি। এই বৃদ্ধার সঙ্গে হাসপাতাল পর্যন্ত ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী নিজেও। মুখ্যমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলেও, এখনও মনে প্রাণে তিনি একজন চিকিৎসক। মানিক সাহা জানিয়েছেন, আর্তের সেবাই তাঁর ধর্ম। তা আরেকবার এদিন ফুটে ওঠে ওনার মধ্যে। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া পর্যন্ত বৃদ্ধার স্বাস্থ্যের যাবতীয় পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। কর্তব্যরত চিকিৎসককে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি ।
advertisement
আরও পড়ুন- ক্ষমতায় ডিনা বোলুয়ার্তে, প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট পেল পেরু
পাশাপাশি প্রয়োজনীয় আর্থিক-সহ অন্যান্য সাহায্য নিশ্চিত করেন।বিশ্রামগঞ্জ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আঘাত প্রাপ্ত বৃদ্ধার প্রাথমিক শুশ্রূষা করার পর ঘটনার গুরুত্ব বুঝে কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে জিবিপি হাসপাতালে রেফার করে দেন। দক্ষিণ জেলার কর্মসূচি সেরে মুখ্যমন্ত্রী সোজা চলে যান জিবিপি হাসপাতালে। আহত বৃদ্ধা এবং তাঁর পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে কথা বলেন। চিকিৎসকদের তাঁর সেবা-শুশ্রূষার ব্যাপারে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকের বক্তব্য অনুযায়ী আঘাতপ্রাপ্ত বৃদ্ধার অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন বলেও জানানো হয়েছে। কনভয়ের সামনে দিয়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত বৃদ্ধার চিকিৎসার ব্যাপারে যে মানবিক ভূমিকায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহাকে দেখা গেল তা দেখে খুশি বৃদ্ধার পরিবারের সদস্যরা।