দ্বিতীয় একটি ট্যুইটে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই নিয়োগকারীদের জন্য বয়সের ঊর্ধ্বসীমা শিথিল করার ঘোষণাও করেছে। যদিও সিএপিএফ এবং অসম রাইফেলসে নিয়োগ হতে ইচ্ছুক অগ্নিবীরদের জন্য নির্ধারিত বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় তিন বছরের ছাড় ঘোষণা করা হলেও, প্রথম ব্যাচের জন্য, বয়সের নির্ধারিত ঊর্ধ্বসীমাকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হবে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রক।
আরও পড়ুন- কৃষি আইন তুলে কেন্দ্রকে খোঁচা, অগ্নিপথও প্রত্যাহার করতেই হবে, দাবি রাহুল গান্ধির
advertisement
এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রাজেশ আর্য জানান, এটি আধাসামরিক বাহিনীর কর্মীদের সামগ্রিক স্তরকে উন্নীত করবে। “সমালোচকরা বলছেন, একজন ব্যক্তি যিনি সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত নন তিনি কীভাবে অসম রাইফেলসের জন্য উপযুক্ত হতে পারেন যা সেনাবাহিনীর সমতুল্য একটি সংস্থা। এ বিষয়ে আমি বলতে চাই, অগ্নিবীররা যারা চার বছর পরে সেনাবাহিনীতে যোগদানের সুযোগ পাচ্ছেন না তাঁরা অযোগ্য নন। এটা ঠিক যে, সেনাবাহিনীর পদের সংখ্যা X হতে পারে এবং উপলব্ধ মোট কর্মী X+10 হতে পারে। বাকিদের আধাসামরিক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা দুর্দান্ত সিদ্ধান্ত। তারা CAPF-এর সামগ্রিক স্তরকে উত্তোলন করবে,” সিএনএন-নিউজ ১৮-কে বলেন প্রাক্তন এই মেজর জেনারেল।
আরও পড়ুন- অগ্নিপথের বিক্ষোভে পুড়ে ছাই একাধিক ট্রেন, মোট কত টাকার ক্ষতি হল জানাল ভারতীয় রেল
আধাসামরিক বাহিনীর আধিকারিকরা নিউজ ১৮ কে জানিয়েছেন, কীভাবে সংরক্ষণ করা হবে সে সম্পর্কে তাঁরা এখনও স্পষ্ট নন। বিকল্পগুলি হল যাদের অগ্নিবীর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁদের অতিরিক্ত পয়েন্ট দেওয়া বা উপলব্ধ মোট আসনের ১০ শতাংশের জন্য সমস্ত অগ্নিবীরদের নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আধাসামরিক বাহিনী বেশিরভাগই অসামরিক দায়িত্বে রয়েছে। অগ্নিবীররা যোগদানের সময় নতুন করে তাঁদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। “আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের ১১ মাস বা তারও বেশি সময় ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অগ্নিবীরদের অসামরিক দায়িত্বের সেই এসওপিগুলিতে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। কিন্তু শারীরিক ফিটনেস, অস্ত্র প্রশিক্ষণ এবং শৃঙ্খলা যা তারা শিখেই আসবে অগ্নিবীর প্রশিক্ষণের পরে, তাতে অতিরিক্ত সুবিধা হবে,” বলেন একজন আধাসামরিক কর্মকর্তা।