এদিন দুপুরে পানাজিতে এই ক্যাম্পেন লঞ্চ করবেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy), সাংসদ ডেরেক'ও ব্রায়ান এবং বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। তৃণমূল যে যে বিষয়ে গোয়াতে বিজেপি বিরোধিতায় মানুষের কাছে যাবে, তা নিয়ে সাত দফা ইস্যু বা বিষয় নির্বাচন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, গোয়ার মানুষ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ পাননি। ভ্যাকসিন পেয়েছে বলে যে সংখ্যা দেখানো হচ্ছে, তা আসলে পরিযায়ী ও পর্যটকদের সংখ্যা ধরে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'BJP-র পক্ষে এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে?' ফের বিস্ফোরক তথাগত রায়! নিশানায় কে?
রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ বলেও অভিযোগ তুলছে তৃণমূল। বিজেপি শাসিত সরকার ৮৬% অপরাধের তদন্তে সাফল্য পেয়েছে, যা দেশের মধ্যে সেরা বলে দাবি করছে তাঁরা। তৃণমূলের বক্তব্য এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। অপরাধ আটকানো যায়নি, এমনকি নারীরাও নিরাপদ নয় গোয়ায়। কর্মসংস্থান নিয়েও নজর নেই বিজেপি-র। চাকরি হয়েছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে তা সঠিক নয় বলেও দাবি করেছে তৃণমূল।পানীয় জলের সংকট থেকে গিয়েছে বলে অভিযোগ এ রাজ্যের শাসক দলের। বাংলায় যখন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পৌছে গিয়েছে, তখন গোয়ায় একাধিক সামাজিক স্কিমে সুবিধা মিলছে না। এমনকি প্রাপ্য অর্থ পেতে চার থেকে পাঁচ মাস সময় লেগে যাচ্ছে। রাজ্যের অর্থনৈতিক হাল অত্যন্ত খারাপ বলেও দাবি করেছে তৃণমূল। সিএজি রিপোর্টকে হাতিয়ার করতে চাইছে তাঁরা। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সিদ্ধি নায়ক খুনের ঘটনা। তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ আনছে তৃণমূল। এই সাত ইস্যুকেই সামনে রেখে লড়াই শুরু করছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল।
আরও পড়ুন: রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে 'অ্যাসাইনমেন্ট', প্রথম বড় দায়িত্বেই টগবগে তৃণমূলের বাবুল সুপ্রিয়!
২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে গোয়াতে কংগ্রেস জিতেছিল ১৭ আসন। বিজেপি জিতেছিল মাত্র ১৩টি আসনে। যদিও রাজনৈতিক দলবদলের পর বিজেপি সেখানে সরকার গঠন করে। এবার গোটা দেশ জুড়ে বিজেপির একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মুখ হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তুলে ধরতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির একমাত্র শক্তিশালী বিরোধী যে মমতা বন্দোপাধ্যায়ই, তা বোঝাতে পশ্চিমের রাজ্যে এবার সংগঠন গড়তে চলেছে তৃণমূল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্ব নেওয়ার পরেই জানিয়েছিলেন, যেখানে যাবেন সেখানে একটি বা দুটি আসন পাওয়া লক্ষ্য নয়। আসলে তারা চাইছেন পাকাপোক্ত সংগঠন গড়ে তুলতে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল সেই কাজ শুরু করেছে বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরাতে। এবার সেই কাজই তারা শুরু করেছে গোয়ায়।
আরও পড়ুন: উত্তরের মন ছুঁয়ে 'পশ্চিমে' পা মমতার, রাজ্য থেকে জাতীয় স্তরে 'উত্তরণের' পর্ব শুরু
৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় বিজেপির আসন বর্তমানে ২৭, কংগ্রেসের ৫, গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির ৩, ন্যাশালসিস্ট কংগ্রেস পার্টির হাতে ১, মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির হাতে ১ ও নির্দলদের হাতে রয়েছে ৩টি আসন। যদিও ২০১৭ সালে গোয়ায় কংগ্রেস পেয়েছিল ১৭ আসন। বিজেপি পেয়েছিল ১৩ আসন। বিজেপি-র একমাত্র শক্তিশালী বিরোধী যদি কেউ হতে পারে, সেটা যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল সেটাই বুঝিয়ে দিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্য বিজেপি বিরোধী দলকে ভোট দিলে সেই দলের বিধায়ক শিবির বদলে ফেলতে পারেন। তৃণমূলকে ভোট দিলে তারা বিজেপি বিরোধী শিবিরেই থাকবে, এটা বুঝিয়ে দিতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। গোয়ার রাজনৈতিক অবস্থান বুঝতে ইতিমধ্যেই সেখানে ঘাঁটি গেড়েছেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের দল। আগামী ২৮ তারিখ গোয়ায় যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেখানে তিনি একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করবেন। তার পরেই প্রার্থী তালিকা সহ একাধিক বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে পৌঁছবেন।