এ দিন সুখেন্দুশেখর রায়ের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের সদস্য জহর সরকার, হরিয়ানার (Haryana) দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অশোক তানোয়ার। বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমে সুখেন্দু বলেন, "হরিয়ানার বিভিন্ন জায়গা থেকে দলের নেতা, কর্মীরা এসেছিলেন। সংগঠন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। খুব ভাল ভাল পরামর্শ, প্রস্তাব এসেছে। আমরা খুব শীঘ্রই হরিয়ানায় দলের কাজ শুরু করব। আগামী সপ্তাহ থেকে হরিয়ানায় আমাদের কাজ পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে।"
advertisement
আরও পড়ুন: ডেস্টিনেশন গোয়া! মমতা অভিষেকের জোড়া সফরে কি নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত?
অশোক তানোয়ার বলেছেন, "খুব দ্রুতই হরিয়ানায় রাজ্যস্তরের একটি অস্থায়ী কমিটি তৈরি করা হবে। কারণ সংগঠন বৃদ্ধির জন্য একবারে তৃণমূলস্তর পর্যন্ত পৌঁছাতে সময় লাগবে। জেলাস্তরেও একইভাবে কমিটি গঠন করা হবে।" অশোক তানোয়ার আরও বলেন, " বর্তমান সরকার করোনার অজুহাত দেখিয়ে বিগত একবছর ধরে পঞ্চায়েত নির্বাচন করছে না। কৃষক আন্দোলনের ফলে সীমানা বন্ধ। সরকারের প্রতিনিধিরা গ্রামে পৌঁছাতে পারছেন না।"
সাধারণ মানুষের ক্ষোভের কারণে বিজেপি নেতারা গ্রামে ঢুকতে পারছেন না বলেও দাবি করেন তানওয়ার। যদিও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে যাবেন বলে দাবি অশোক তানোয়ারের। গত মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের সময় দলের সুপ্রিমোর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন অশোক তানোয়ার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেত্রী বলে সম্মোধন করেন তিনি। তৃণমূলনেত্রী অশোক তানোয়ারকে কলকাতায় সভা করার আহ্বান জানান এবং তিনি ডাকলে নিজে হরিয়ানায় সভা করবেন বলে জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: মমতার 'ইউপিএ নেই' বাণে আরও শান দিলেন ডেরেক! বললেন...
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে ভিন রাজ্যে তৃণমূলের সংগঠন বৃদ্ধির প্রচেষ্টা নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূলর রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। তিনি বলেছেন,তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলিতে দলের শাখা খুলবে না তৃণমূল। ডেরেক জানান, যে সমস্ত রাজ্যে বিজেপি শক্তিশালী অথচ দূর্বল বিরোধী শিবির, সেখানে যাবে তৃণমূল।
হরিয়ানায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিজেপি ও কংগ্রেস। পর পর দুবার সেখানে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। ফলে সেখানে কংগ্রেসের সাংগঠনিক ক্ষমতা যথেষ্ঠ দূর্বল। সেই কারণেই হরিয়ানায় নিজেদের সংগঠন বৃদ্ধি করছে জোড়াফুল শিবির। যদিও বিজেপিকে হারানোই দলের মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন ডেরেক ও ব্রায়েন।