বিএসএফের মতো একটি কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক্তিয়ারভুক্ত এলাকা আন্তর্জাতিক সীমান্তের ভেতরে ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। একতরফা এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকার যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় আঘাত হেনেছে বলে অভিযোগ করেছে পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাবের মতো রাজ্যগুলি।এরই মধ্যে বুধবার রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ শান্তনু সেনের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়ে দিল, বাংলাদেশ সীমান্তে বেশ কয়েকবার আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে বিএসএফ।
advertisement
আরও পড়ুন- লাফিয়ে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা! আগামিকাল পর্যালোচনা বৈঠকে মোদি
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা আত্মরক্ষার স্বার্থেই বাংলাদেশ লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জায়গায় গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। তৃণমূল সাংসদের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক লিখিত উত্তরে জানিয়েছেন, 'বাংলাদেশ সীমান্তে অবৈধ ও বেআইনি কার্যকলাপ রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে বিএসএফ। দিনে ও রাতে জওয়ানের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়েছে। গবাদি পশু, অনুপ্রেবশকারী থেকে শুরু করে আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।'
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিনই বাংলাদেশ লাগোয়া মালদার নওদা জেলায় বিএসএফের গুলিতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, এদিনই দিল্লিতে বিএসএফের কার্যকলাপ নিয়ে তোপ দাগেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেছেন, "বিএসএফ একটা শৃঙ্খলাহীন বাহিনী। তাদের কাজ সীমান্তে চোরাচালানকারীদের থেকে টাকা নেওয়া। ওরা সীমান্তে কোনও নিরাপত্তা দিতে পারছে না। যদি বিএসএফ সীমান্তে ঠিকমতো নিরাপত্তার কাজ করে, তাহলে অনুপ্রবেশ হচ্ছে কীভাবে? গরু পাচার চলছে কী করে? বিএসএফ ব্যর্থ।"
আরও পড়ুন- ভার্চুয়াল শুনানির মধ্যে মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা,বিপাকে মাদ্রাজ হাইকোর্টের আইনজীবী
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বিএসএফের এই এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতা করেছেন। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাজ সীমান্ত রক্ষা করা গ্রামে ঢুকে তোলা আদায় করা নয়। এমনটাই জানিয়েছিলেন তিনি।