। রাজ্যসভায় অসংসদীয় আচরণ করার অভিযোগ তুলে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এরফলে তৃণমূলের মোট তিনদজন সাংসদ রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হলেন (TMC MP Derek O'Brien Suspended)।
চলতি শীতকালীন অধিবেশনে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে সাসপেন্ড হলেন ১৩ জন সাংসদ। আজ রাজ্যসভায় নির্বাচনী সংস্কার বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরণে রিজিজু। বিলটির তীব্র বিরোধিতা করে কংগ্রেস, সিপিএম, সিপিআই, তৃণমূল থেকে শুরু করে ডিএমকের মতো বিরোধী দলগুলি। বিরোধীদের অভিযোগ, দেশের মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিতে চাইছে মোদি সরকার। সাসপেন্ড হওয়ার পর ডেরেক টুইটারে লেখেন (TMC MP Derek O'Brien Suspended), "শেষবার আমি সাসপেন্ড হয়েছিলাম রাজ্যসভা থেকে কৃষি বিল বুলডোজ করার প্রতিবাদ করার জন্য। তারপর কী হয়েছিল, আমরা সবাই জানি। আজ সাসপেন্ড হলাম নির্বাচনী বিল ২০২১ বিলটি বুলডোজ করার প্রতিবাদ করার জন্য। এই বিলটিও পরে প্রত্যাহার করা হবে।"
advertisement
আরও পড়ুন:শিশুদের করোনা টিকা প্রদানের এই মুহূর্তে কোনও প্রয়োজন নেই: কেন্দ্রীয় সংস্থা
এই বিলের বিরোধিতায় তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করছে মোদি সরকার। জোর করে বিল পাস করানোর প্রতিবাদ করায় তাঁদের শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন ডেরেক। এরপরেই সেই সময় সভার দায়িত্বে থাকা হরিবংশের দিকে রুলবুক ছুঁড়ে দেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা। সেই সময় বিরোধীরা ওয়েলে নেমে নির্বাচনী সংস্কার বিলটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছিল। যদিও বিরোধীদের বিক্ষোভে আমল দেননি চেয়ারে থাকা হরিবংশ।
আরও পড়ুন:জার্মান বর এবং রুশ কনে, ভারতীয় সংস্কৃতিতে ভালবেসে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন গুজরাতে
বিরোধীদের তুমুল বিক্ষোভের মধ্যে বিলটি ধ্বনী ভোটে পাস হয়ে যায়। গতকাল লোকসভায় বিলটি পাস হয়ে গিয়েছে। আজ রাজ্যসভায় পাস হওয়ার পর আধারকার্ডের সঙ্গে ভোটারকার্ডের লিঙ্কে আর কোনও আইনি জটিলতা থাকল না। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর হলেই তা আইনে পরিণত হয়ে যাবে। গতকাল লোকসভায় বিলের সপক্ষে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেন, "কংগ্রেস, তৃণমূল এই বিলের বিরোধিতা করছে, কারণ, তাহলে বাংলাদেশীদের অবৈধভাবে ভোটারকার্ড বিলি করা বন্ধ হবে। তাদের ভোটব্যাঙ্কে ফাটল ধরবে। এই কক্ষের সাংসদ ছিলেন নেপালের নাগরিক এনকে সুব্বা। এই বিল পাস হলে নেপাল, বাংলাদেশের মানুষদের অবৈধ নাগরিকত্ত্ব দেওয়া রোখা সম্ভব হবে।"
RAJIB CHAKRABORTY