বৃহস্পতিবার ছিল ২১ জুলাইয়ের মেগা সভা। সেই সভা শেষ হওয়ার পরেই তৃণমূলের রাজ্য়সভা ও লোকসভার সাংসদের নিয়ে বৈঠক শুরু হয়। সুব্রত বক্সী, চৌধুরী মোহন জাটুয়ার মতো কয়েকজন বাদে সকলেই সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান অভিষেক। সেই আলোচনার মধ্যেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বেরিয়ে এসে তাঁরা বক্তব্য় রাখতে শুরু করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: আমি চাই ভারতে একটাই আদর্শবান দল থাকুক যার নাম তৃণমূল কংগ্রেস : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
অভিষেক বলেন, প্রথমত এটা স্পষ্ট করে দেওয়া জরুরি এনডিএ-এর প্রার্থী জগদীপ ধনখড় যে ভাবে আমাদের রাজ্যে একটি দলের হয়ে কাজ করেছেন, তাতে তাঁকে সমর্থনের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। পাশাপাশি, তিনি বলেন, বিরোধী গোষ্ঠীর প্রার্থী হিসাবে মার্গারেট আলভাকে যে ভাবে প্রার্থী করা হয়েছে, তাতেও তৃণমূল খুশি নয়। রাতারাতি বিরোধী গোষ্ঠীর উপ-রাষ্ট্রপতি পদের পদপ্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। হঠাৎ করে শরদ পাওয়ারের বাড়িতে এই প্রক্রিয়া চলে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বা দলকে একবারও জানানো হয়নি। শুনেছি কংগ্রেসের এক নেতা ফোন করার চেষ্টা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে, কিন্তু তা সব ঠিক করার পরে। সেই কারণে দলের প্রায় ৮৫ শতাংশ সাংসদের মত নিয়ে দল ঠিক করেছে, উপ-রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচেন ভোটদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের দল একটি গণতান্ত্রিক দল। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত নিয়েই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে দল।
আরও পড়ুন: হাতে ওয়াকিটকি, উড়ছে ড্রোন, একুশে জুলাইতে ডাকাবুকো আরাবুলকে চেনা দায়!
ওদিকে পাল্টা সিপিএম ও কংগ্রেসের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, দার্জিলিংয়ে জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই এই সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছিল, এখন এসব কথা বলছে তৃণমূল। সেই প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক জানিয়েছেন, আগে সিপিএম জবাব দিক, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কেন ভোট দিতে আসেননি নৌশাদ সিদ্দিকি। সেই জবাব পেলে বাকিটা উত্তর দেওয়া যাবে। অভিষেক আরও প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, কেউ বিরোধী ঐক্যকে সামনে রেখে অভিযোগ করতে চাইলে করতেই পারেন, কিন্তু রাষ্ট্রপতি বা উপরাষ্ট্রপতি পদে ভোট দিলেই বা না দিলেই বিরোধী ঐক্য থাকবে না হলে থাকবে না, এটা ঠিক নয়। ফ্লোরে কো-অর্ডিনেশন থাকলেও সব হয়। এটা কোনও একটি রাজনৈতিক লড়াইয়ের একক লড়াই নয়। এখানে ইগো রাখলে চলবে না। ইগো ছেড়ে সবাইকে একসঙ্গে আসতে হবে। আমাদের কাছেও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য তিন-চারটে নাম ছিল, কিন্তু হঠাৎ রাতারাতি সব বদলে গেল। শরদ পাওয়ারের বাড়িতে হল বৈঠক। এটা বিরোধী ঐক্যের পক্ষে স্বাস্থ্যকর নয়।
আবীর ঘোষাল