ছোট রাজ্য হওয়ায় গোয়ায় এক দফায় ভোট করানোর কথা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের আগে প্রচারে লাগাতার বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়েছে। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে হচ্ছে ভোট গ্রহণ। কেন্দ্রীয় বাহিনী ইতিমধ্যেই বুথে বুথে পৌঁছে গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে বুথে বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো থাকবে। আবাধ এবং সুষ্ঠু ভোট করতে মরিয়া নির্বাচন কমিশন।
advertisement
আরও পড়ুন: কেমন থাকবে বাংলার আবহাওয়া? থাকছে শীত নাকি আসছে বৃষ্টি?
বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিকরের ছেলে উৎপলের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস কোনও প্রার্থী দেয়নি। এই নির্বাচনের কয়েক ঘন্টা আগে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। ফেক ভিডিও তুলে ধরে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব জানিয়েছেন, ''গোয়ার মানুষ বিজেপিকে হারিয়ে জবাব দেবেন। এটা আমাদের বিশ্বাস। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ঢেউ এখানেও পেতে চান গোয়ার মানুষ। ভোট পর্যালোচনার জন্য পানাজিতে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।''
আরও পড়ুন: রাজ প্রাসাদ ছেড়ে ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে, পুরযুদ্ধে ভোট প্রার্থী তাম্রলিপ্তের রাজ বংশধর!
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, কোভিড নিয়ন্ত্রণে যাবতীয় বিধি নিষেধ মেনেই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও থাকছে আঁটোসাঁটো। নির্বিঘ্নে ভোট সম্পন্ন করতে নামানো হয়েছে মোট ৮১টি ফ্লাইং স্কোয়াড। উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে আছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত, কংগ্রেসের দীগম্বর কামাত, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল প্রার্থী চার্চিল আলেমাও, বিজেপির রবি নায়েক, প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় সরদেশাই প্রমুখ। তবে, এবারের নির্বাচনে তৃণমূলের দিকে আলাদা নজর থাকছেই। দিনের পর দিন গোয়ায় থেকে দলের সংগঠন তৈরি করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গোয়ায় ফল তাঁর কাছেও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।