সাকেত গোখলে তার করা পোস্টে দাবি করেছেন,নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল দুই রাজ্য একই আলফা-নিউম্যারিক নম্বর ব্যবহারের ফলে একাধিক ভোটারের একই এপিক কার্ড নম্বর হয়ে থাকতে পারে। সাকেত দাবি করেছেন, ইসিআই হ্যান্ডবুকে স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে, এপিক নম্বর তিনটি অক্ষর এবং ৭টি সংখ্যার এসঙ্গে তৈরি হয়। এবং এই তিনটি অক্ষর (যাকে ফাংশনাল ইউনিক সিরিয়াল নম্বর বলা হয়) প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য আলাদা আলাদা। ফলে দুই বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটারের এই তিনটি অক্ষর মিলে গেল কিভাবে?
advertisement
নির্বাচন কমিশন বলেছে, একই এপিক নম্বর একাধিক ব্যক্তির হলেও তাঁরা যে বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত শুধুমাত্র সেখানেই ভোট দিতে পারবেন। সাকেত তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেছেন, ইলেক্টোরাল রোল বা ভোটার লিস্টের সঙ্গে ভোটারের ছবি তাঁর এপিক নম্বরের ভিত্তিতে যুক্ত হয়। ফলে বাংলার কোনও বৈধ ভোটার ভোট দিতে যখন যাবেন, সেখানে তাঁর এপিক নম্বরের পরিপ্রেক্ষিতে আলাদা রাজ্যের আলাদা ভোটারের ছবি দেখাতে পারে, যার ফলে বৈধ ভোটার হয়েও যিনি সম্ভাব্য বিজেপি বিরোধী ভোট দিতে পারতেন, তিনি আর ভোট দিতে পারবেন না।
নির্বাচন কমিশন দাবি করেছিল, আলফা নিউম্যারিক কোডের ডুপ্লিকেশন হওয়ার ফলে আলাদা আলাদা মানুষের একই এপিক কার্ড ইস্যু হয়ে গিয়ে থাকতে পারে। তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনের আইন বলছে, তাঁদের সফটওয়্যার সর্বক্ষণ নজর রাখে সব ব্যবহৃত এপিক নম্বরের উপর, যাতে সেটা একাধিক ব্যক্তিকে অ্যালট করা না হয়। পাশাপাশি এপিক নম্বর একজন ভোটারের তথ্য এবং তাঁর ছবির সঙ্গে লিঙ্ক করা থাকে। এবং তাই ভোটার কার্ডকে “স্থায়ী ইউনিক আইডি” বলে গ্রাহ্য করা হয়।
আরও পড়ুনঃ IND vs AUS: সেমিফাইনালে না খেলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে যেতে পারে ভারত! জেনে নিন কীভাবে
তৃণমূলের দাবি, এটি স্রেফ কোনও ত্রুটি নয়। এটা পরিষ্কার যে বিজেপি বিরোধী ভোটকে আটকানোর জন্য এই চক্রান্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার এখন মোদি এবং অমিত শাহ বাছাই করা বিজেপির হয়ে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। ফলে অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কার্যত অসম্ভব। তৃণমূলের তরফে দাবি তোলা হয়েছে, অবিলম্বে এমন কত এপিক কার্ডের ডুপ্লিকেশন রয়েছে তার তথ্য প্রকাশ্যে আনুক কমিশন। এবং অবিলম্বে এই ভুয়ো ভোটার দুর্নিতীর তদন্ত করা হোক।