সম্প্রতি, দেশের একাধিক বন্দরে বিদেশ থেকে মাছ, মাংস ও পোল্ট্রিজাত খাদ্যসামগ্রী আমদানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারত সরকার। এই তালিকায় ছিল আগরতলার আখাউড়া (আখাউড়া ICP) স্থলবন্দরও। এই নিষেধাজ্ঞার জেরে বাংলাদেশ থেকে মাছের আমদানি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফলে সমস্যায় পড়ছিলেন সাধারণ মানুষ। কারণ, ত্রিপুরার ৯০ শতাংশ মানুষেরই খাদ্যাভ্যাসের নিয়মিত অংশ হল মাছ।
advertisement
বিষয়টি রাজ্য সরকারের নজরে এলে ত্রিপুরা সরকারের তরফে কেন্দ্র সরকারের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়। এই চিঠিতে অনুরোধ করা হয়, আগরতলার আইসিপি'কে যেন এই তালিকার বাইরে রাখা হয়। রাজ্য সরকারের পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথাও বলেন। সূত্রের খবর, তারপরেই আখাউড়া স্থলবন্দর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। ফলে এখন থেকে আবার স্বাভাবিকভাবে মাছ আমদানি করা যাবে আখাউড়া সীমান্তের স্থলবন্দরের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: ভারতকে $5 ট্রিলিয়ন অর্থনীতিতে পৌঁছে দিতে বিরাট ভূমিকা নেবে উত্তরপ্রদেশ : যোগী আদিত্যনাথ
দেশের অন্যতম বৃহৎ স্থলবন্দর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া। অনির্দিষ্টকালের জন্য এই বন্দরের মাধ্যমে মাছ রফতানি বন্ধ করা হয়েছিল ভারত সরকারের তরফে। আখাউড়া স্থলবন্দরের মৎস্য রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিঞা জানিয়েছেন, ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই) ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠিত একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্ট; যা ভারতে খাদ্য নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই সংস্থাটি ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও প্রচারের জন্য দায়ী।
তিনি জানান, বাংলাদেশ থেকে ভারতে রফতানিকৃত মাছের গুণগতমান যাচাইয়ে পরীক্ষা চলছিল এতদিন। তাই ভারতীয় ব্যবসায়ীরা মাছ আমদানি করতে অনীহা প্রকাশ করায় গত বুধবার সকাল থেকে মাছ রফতানি বন্ধ করা হয়েছিল। তবে মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ফের মাছ আমদানি করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।