হোটেলের বাইরে রাস্তায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে সেই কিশোরী মেয়েটি! কী হয়েছিল তার সঙ্গে? জেনে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। অসমের ওই কিশোরীর সঙ্গে ট্রেনে জে মহিলার আলাপ হয়েছিল তাঁর নাম মায়া। কিশোরীকে তার পরিবারের কথা জিজ্ঞাসা করেন তিনি, আরও নানা কিছু। এর পর, টুন্ডলা থেকে মায়া একটি ট্যাক্সি করে তাকে আগ্রার ট্রান্স যমুনা শিটার থানার একটি হোটেলে নিয়ে আসেন। হোটেলে এর পর একজন যুবকও আসেন। কিশোরী, মায়া এবং তার সঙ্গী যুবক একই ঘরে ছিল। কথায় কথায় কিশোরী জানতে পারে মায়া পতিতাবৃত্তির ব্যবসা চালায়। এই ছেলেটি তাকে এই কাজে সাহায্য করত।
advertisement
আরও পড়ুন- ‘আমি নেব ওকে!’ ‘না, আমি!’ এক স্ত্রীকে নিয়ে কাড়াকাড়ি ২ স্বামীর! চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের
এর পর মেয়েটি নিজেকে বাঁচাতে দৌড়ে হোটেল থেকে বেরিয়ে যায়। এ সময় মেয়েটির দুই পা ভেঙে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ থানায় পৌঁছালেও ততক্ষণে মায়া ও তার সঙ্গী ছেলে পালিয়ে গেছে। পুলিশ মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে একটি মামলা দায়ের করে।
পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে ওই কিশোরী বলে, ‘আমি মায়ার কথামতো ভেবেছিলাম, কাজের চেষ্টা করব। আর সে আমাকে হোটেলে নিয়ে গেল। পতিতাবৃত্তিতে ঠেলে দেওয়ার ভয় ছিল, তাই নিজেকে বাঁচাতে হোটেল থেকে পালিয়ে এসেছি।’
ব র্তমানে পুলিশ হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরার রেকর্ডিং নিয়েছে। প্রকাশের জন্য দুটি দল গঠন করা হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, হোটেল মালিকও এ কাজে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হোটেলটিও উঠিয়ে দেওয়া হবে তেমন সূত্র মিললে। বর্তমানে মায়া ও তার সঙ্গীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- কলা খাওয়ার ১ ঘণ্টার মধ্যে ভুলেও খাবেন না ‘এই’ জিনিস! চরম বিপদ, ভাবতেও পারছেন না!
এসিপি ছাত্তা হেমন্ত কুমার বলেন, ‘মেয়েটির বয়স প্রায় ১৭ বছর। অসমের বাসিন্দা। মেয়েটি বলে যে সে তার দিদার বাড়িতে যাচ্ছিল যা গুয়াহাটির কাছে। গুয়াহাটিতে একজন মহিলা তার সাথে দেখা করে। সে তার নাম বলছে মায়া। ওই মহিলা তাকে টুন্ডলায় নিয়ে আসেন। তারপর সেখান থেকে এক ব্যক্তি তাদের সবাইকে যমুনা ট্রান্সে অবস্থিত একটি হোটেলে নিয়ে আসে। ভুল কিছু হতে পারে জেনে হোটেল থেকে পালিয়ে যায় মেয়েটি। চাকরির অজুহাতে তাকে নিয়ে এসেছিল ওই নারী। হোটেলে রুম বুক করা মহিলা ও যুবককে খোঁজা হচ্ছে।’