জানা গিয়েছে, যে পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তি এমন জঘন্য কাজটি করে আসছিলেন৷ তিনি ও এই শিক্ষিকার দূর সম্পর্কের আত্মীয়৷ তিনি দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে হয়রানি করে আসছিলেন। পরিবারের লোকজন, এবং নিজের সম্মানের ভয় মুখ বুঝে সবকিছু সহ্য করছিলেন শিক্ষিকা৷ এরপরই একদিন এল, যখন চরম সিদ্ধান্ত নিতে হয় তাকে৷ শনিবার রাতে, ওই শিক্ষিকা একাই বেড়িয়েছিলেন৷ নিজের মনে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন তিনি৷ কিন্তু বিপদ যে অপেক্ষা করে রয়েছে সেটা টেরও পানি৷ ওই মহিলাকে ফাঁকা জায়গায় পেতেই ফের সুযোগ কাজে লাগান ওই বৃদ্ধ৷
advertisement
আরও পড়ুন: ফুচকার স্বাদ বাড়াতে ইউরিয়া হারপিকের ব্যবহার! এই রাজ্যে নির্বাসিত হতে পারে ফুচকা
ঘটনায় বিচলিত হয়ে, ভুক্তভোগী তৎক্ষণাৎ বাড়ি ফিরে জীবন শেষ করার চেষ্টা করেন৷ ঘরের দরজা আটকে বিষাক্ত ট্যাবলেট খেয়ে নেন তিনি। পরের দিন সকালে দরজা না খুললে তাঁর পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পরও সাড়া না মেলায় দরজা ভেঙে ভিতরের ঢোকে সবাই৷ দেখা যায় ভুক্তভোগী অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন৷ তাঁকে তৎক্ষণাৎ জবলপুরের নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ চিকিৎসকরা তাঁকে বাঁচানো ব্যর্থ হন।
আরও পড়ুন: সবজি কম কেন? প্যান দিয়ে বউকে পিটিয়ে হত্যা স্বামীর!
তবে জানা গিয়েছে, চিকিৎসার সময়, ওই শিক্ষিকা ডাক্তারের কাছে সমগ্র ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। জানিয়েছেন কীভাবে দিনের পর দিন তিনি তার আত্মীয়ের লালসার শিকার হয়েছেন৷ ভুক্তভোগীর বর্ণনা অনুযায়ী, অভিযুক্ত একই গ্রামে বসবাস করত এবং দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে হয়রানি করে আসছিল৷ তিনি পরিবারের পরামর্শে পুরো ব্যাপারটা উপেক্ষা করছিলেন। শনিবার রাতে যখন তিনি একা বেড়িয়েছিলেন, অভিযুক্ত ছুরির ভয় দেখিয়ে তাঁকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ফের নিজের লালসা মেটায়।