TRENDING:

Dowry Torture: ‘তোমাদের বোঝা হতে চাই না...’ বাবাকে পাঠানো জীবনের শেষ অডিও মেসেজ...৮০ ভরি সোনা, ৭০ লক্ষের গাড়ি পণ যৌতুকের পরও নিজেকে শেষ করলেন নববিবাহিত তরুণী

Last Updated:

Dowry Torture:ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ এসে রিধন্যার নিথর দেহ উদ্ধার করে৷ আত্মহননের আগে তিনি তাঁর বাবাকে হোয়াটসঅ্যাপে সাতটি অডিও বার্তা পাঠিয়েছিলেন, যেখানে তিনি তার সিদ্ধান্তের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এবং শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতন সহ্য করতে না পারার কথা বলেছেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
চেন্নাই: ফের পণের বলি এক তরুণী৷ তামিলনাড়ুর তিরুপ্পুরে আত্মঘাতী হলেন রিধন্যা (২৭)৷ চলতি বছর এপ্রিলে তিনি সাতপাকে বাঁধা পড়েন কবিন কুমারের (২৮) সঙ্গে৷ পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে ক্রমাগত পণের চাপ সহ্য করতে না পেরেই চরম সিদ্ধান্ত নেন রিধন্যা৷ তাঁর বাড়ির লোকের অভিযোগ, বিয়ের সময় ৮০ ভরি সোনার গয়না এবং ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যের ভলভো গাড়ি দিয়েও নিস্তার মেলেনি৷ রিধন্যাকে সব সময় আরও পণ এবং যৌতুকের জন্য চাপ দেওয়া হত বলে অভিযোগ৷
রিধন্যাকে সব সময় আরও পণ এবং যৌতুকের জন্য চাপ দেওয়া হত বলে অভিযোগ
রিধন্যাকে সব সময় আরও পণ এবং যৌতুকের জন্য চাপ দেওয়া হত বলে অভিযোগ
advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার, রিধন্যা মন্ডিপালায়মের একটি মন্দিরে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। পুলিশের ধারণা, পথে, তিনি তাঁর গাড়ি থামিয়ে কীটনাশক ট্যাবলেট খান। স্থানীয়রা দীর্ঘক্ষণ ধরে এলাকায় একটি গাড়ি পার্ক করা অবস্থায় দেখে পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ এসে রিধন্যার নিথর দেহ উদ্ধার করে৷ আত্মহননের আগে তিনি তাঁর বাবাকে হোয়াটসঅ্যাপে সাতটি অডিও বার্তা পাঠিয়েছিলেন, যেখানে তিনি তার সিদ্ধান্তের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এবং শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতন সহ্য করতে না পারার কথা বলেছেন।

advertisement

একটি বার্তায়, তিনি বলেন, “আমি প্রতিদিন এই মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে পারছি না। আমি জানি না কাকে এই বিষয়ে বলব। যারা এটা শুনছেন তাঁরা চান যে আমি আপস করি এবং ধরে নিই জীবনটা এমনই হবে৷ তাঁরা আমার কষ্ট বুঝতে পারছেন না’’। তাঁর বার্তায় তিনি বলেছেন যে তাঁর বাবা-মা হয়তো তাঁকে সন্দেহ করতে পারেন কিন্তু তিনি মিথ্যা বলছেন না। রিধন্যার কথায়, “আমার চারপাশের সবাই অভিনয় করছে, আর আমি বুঝতে পারছি না কেন আমি চুপ করে আছি বা এমন হয়ে যাচ্ছি,”৷ ভেঙে পড়ে তিনি বলেন, ‘‘এভাবে আমি আর চলতে পারব না৷’’

advertisement

নিজেকে শেষ করে দেওয়ার আগে রিধন্যা ভয়েস মেসেজে তাঁর বাবাকে বলেন, “আমি সারা জীবন তোমাদের বোঝা হয়ে থাকতে চাই না। এ বার আমি কোনও ভুল করিনি। আমি এই জীবন নিতে পারছি না। শ্বশুরবাড়িতে আমাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করছে। আমার স্বামী আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করছে।” পৃথিবী ছেড়ে অনন্তের পথে পাড়ি দেওয়ার আগে তিনি বলে চলেন, ‘‘তুমি আর মা আমার পৃথিবী। আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তোমরাই আমার আশা ছিলে, কিন্তু আমি তোমাদের অনেক কষ্ট দিয়েছি। তোমরা খোলাখুলিভাবে এটা বলতে পারছ না, তবুও তুমি আমাকে এভাবে দেখতে পারছ না। আমি তোমার কষ্ট বুঝতে পারছি। আমি দুঃখিত বাবা, সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছে। আমি চলে যাচ্ছি।’’

advertisement

আরও পড়ুন : খু*ন করে সহবাস সঙ্গিনীর দেহ খাটে শুইয়ে রাখলেন বেকার প্রেমিক! পাশে নিজেও ঘুমোলেন ২ দিন! হাড়হিম হত্যা*কাণ্ডে শিরদাঁড়ায় রক্তস্রোত!

রিধন্যার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর আত্মীয়স্বজনরা ন্যায়বিচারের দাবিতে হাসপাতালের বাইরে জড়ো হন। তাঁর বাবা আন্নাদুরাই মেয়ের অকালমৃত্যুর ন্যায়বিচার দাবি করেন৷ তাঁর অভিযোগ, যে তাঁর মেয়েকে প্রতারণা করে এমন একটি পরিবারে বিয়ে দেওয়া হয়েছে যারা নিজেকে সম্মানিত বলে পরিচয় দেয়। ‘‘তাঁরা আমাদের ভাল পরিবারের কথা বলে প্রতারণা করেছে,” তিনি বলেন৷ তাঁর মেয়ের উপর হওয়া শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন নিয়ে বার বার অভিযোগ করতে থাকেন তিনি।

advertisement

“ওর কথা শুনলে আপনাদের কান্না চলে আসবে। ও এত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করেছিল,” তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দৃশ্যত কাঁপতে কাঁপতে। রিধন্যা বিয়ের মাত্র ১৫ দিন পরে তাঁর বাবার বাড়িতে ফিরে এসেছিল, তিনি বলেন। “আমি তাঁকে বলেছিলাম যে এটি একটি নতুন পরিবার এবং সেখানে আমি তাঁকে মানিয়ে নিতে বলেছিলাম,” তিনি শোকবিহ্বল অবস্থায় বলে চলেন।

তিনি বলেন, রিধন্যা তখন তাঁকে তাঁর শাশুড়ি চিত্রার সঙ্গে কথা বলতে অনুরোধ করেছিলেন। চিত্রা তাঁদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন৷ তাঁর ছেলের আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে এমন আর কখনও হবে না। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসার ২০ দিনের মধ্যে, রিধন্যা আবার বাপের বাড়িতে ফিরে যান- এবার মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়েন তিনি।

আরও পড়ুন : এলোপাথাড়ি চড়ের পর গলা ফালাফালা করে কিশোরীকে খুন যুবকের! সরকারি হাসপাতালে দিনের আলোয় প্রকাশ্যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড! ক্যামেরাবন্দি রক্ত জল করা দৃশ্য!

“রিধন্যা আবারও প্রচণ্ড মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়৷” বলেন তাঁর বাবা৷ তিনি বলেন, তার পরও তিনি মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে মানিয়ে নিতে বলেছিলেন। আন্নাদুরাইয়ের মতে, “তারা তাকে ভেতরে আটকে রেখেছিল এবং বলেছিল যে এটা আমার নিরাপত্তার জন্য।” অভিযোগ, রিধন্যার শ্বশুরবাড়িতে পণ ও যৌতুক নিয়ে তুল্যমূল্য আলোচনা করা হত৷ বার বার উল্লেখ করা হত তাঁদের পরিচিত কোনও পরিবারে জামাইকে ১০০ কোটি টাকা যৌতুক দেওয়া হয়েছে ব্যবসা শুরুর জন্য৷

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
শেষ সুবর্ণ সুযোগ! হাতছাড়া হলে কেঁদে কুল পাবেন না...
আরও দেখুন

রিধন্যার স্বামী কবিন কুমার, তাঁর শ্বশুর ঈশ্বরমূর্তি এবং শাশুড়ি চিত্রাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ চলছে তদন্ত৷

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Dowry Torture: ‘তোমাদের বোঝা হতে চাই না...’ বাবাকে পাঠানো জীবনের শেষ অডিও মেসেজ...৮০ ভরি সোনা, ৭০ লক্ষের গাড়ি পণ যৌতুকের পরও নিজেকে শেষ করলেন নববিবাহিত তরুণী
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল