এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ, সন্দীপ মেহতা এবং এনভি আনজারিয়ার তিন সদস্যের বেঞ্চ শুক্রবার দেয় এই রায়৷
বেঞ্চ জানিয়েছে, এই সমস্ত এলাকা থেকে পথকুকুরদের সরিয়ে নিয়ে অ্যানিমাল বার্থ কন্ট্রোল রুল অনুযায়ী, ভ্যাক্সিনেশন এবং স্টেরিলাইজেশন করার পরে দূরে ডগ শেল্টারে তাঁদের পাঠানোর গোটাটার দায় বর্তাবে স্থানীয় প্রশাসনের উপর৷
advertisement
বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, ওই সমস্ত এলাকা থেকে পথকুকুরগুলিকে নিয়ে যাওয়ার পরে, ফের তাদের ওই সমস্ত জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে না৷ নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘‘এমনটা করলে এই সমস্ত এলাকা থেকে পথকুকুর সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যটাই ব্যর্থ হবে৷’’
এছাড়া, এলাকাগুলিতে পথকুকুরদের বিষয়ে নিয়মিত নজরদারি চালানোর কথাও বলা হয়েছে আদালতের নির্দেশে৷ জানানো হয়েছে, এই সমস্ত জায়গায় যাতে অন্য কুকুর ফিরে না আসে, অথবা তাদের কোনও খাবার দেওয়ার জায়গা তৈরি না হয়, সে বিষয়েও নজর রাখতে হবে৷
আদালত জানিয়েছে, ‘‘হাইওয়ে, রোডওয়ে এবং এক্সপ্রেসওয়ের আশপাশ থেকে গবাদি, কুকুর এই সমস্ত প্রাণি সরাতে যৌথভাবে কাজ করতে হবে কেন্দ্র-রাজ্যকে৷’’
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পশুদের গোশালা অথবা নির্দিষ্ট আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করতে হবে।
রাজ্য প্রশাসনের প্রতি কঠোর সতর্কবার্তা জারি করে, বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে যে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য সচিবদের কঠোরভাবে মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে, অন্যথায় কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করা হবে।
রাজ্যগুলিকে আট সপ্তাহের মধ্যে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে, যাতে নির্দেশিকাগুলি কার্যকর করার জন্য তৈরি করা প্রক্রিয়াগুলি তুলে ধরা হয়েছে।
তবে পথকুকুর এবং গৃহহীন পশুদের নজরদারিতে এবং যত্নে কোনও খামতি হতে পারবে না। তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সব রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মুখ্য সচিবদের ৮ সপ্তাহের মধ্যে কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট দিতে হবে
