এদিন ইউক্রেন থেকে ফিরে বঙ্গভবনে থাকা পড়ুয়া মালদার নুর হাসান জানিয়েছেন, রোমানিয়া সীমান্ত হয়ে দিল্লি ফিরেছেন তিনি। এখনও তাঁদের বেশ কয়েকজন বন্ধু এবং সহপাঠী ইউক্রেনে রয়েছেন। বিপদ এড়াতে বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে হয়েছিল নুর হাসানকে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে আটক ভারতীয়দের উদ্ধারে নামছে বায়ুসেনা, যাচ্ছে সি ১৭ বিমান
তিনি বলেন, "আমরা যে পড়ুয়া, তারজন্য প্রাপ্য যে সম্মান, সহানুভুতি তা আমরা পাইনি। আমাদের মানুষ বলেই বিবেচনা করা হয়নি। বিগত ৫-৬দিন যেভাবে কেটেছে সেটাই আমার জীবনের সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন। এই অভিজ্ঞতা ভোলার নয়। তবে দিল্লিতে ফেরার পর যে সহযোগিতা পেয়েছি, তার জন্য রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ।"
advertisement
আরও পড়ুন: যুদ্ধহানায় প্রাণ গেলে যাক, পোষ্যদের ছেড়ে নড়তে নারাজ ইউক্রেনবাসী
নুর হাসান এবং তাঁর কয়েকজন বন্ধু ও সহপাঠী তিনদিন বাঙ্কারে ছিলেন। ইউক্রেনে পড়তে যাওয়া যাদবপুরের অনুপ্রভা চট্টোপাধ্য়ায়ও একইভাবে দেশে ফিরেছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, "আমরা দিল্লি পৌঁছানোর পরে খুব ভাল সহযোগিতা পেয়েছি। তারজন্য ভারতীয় দূতাবাসকে ধন্যবাদ। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও আমাদের খুবই সাহায্য করেছে। আমাদের জন্য খাবার এবং থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।"
এদিকে, ঘরে ফেরার সুযোগ পেয়ে খুবই খুশি অনুপ্রভা চ্যাটার্জি। তিনি জানিয়েছেন, "ইউক্রেনের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সেভাবে কোনও সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না। সীমান্তে একা হেঁটে যেতে হচ্ছে।" খারকিভে ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু নিয়েও শোকপ্রকাশ করেন অনুপ্রভা। দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রেসিডেন্ট কমিশন পুরো বিষয়টি দেখভাল করছে। কেউ বঙ্গভবন অথবা কেউ নিজের আত্মীয় বা পরিচিতদের বাড়িতে থাকছেন। পরে সেখান থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খরচায় পাঠানো হচ্ছে কলকাতায়। রাজ্যের পড়ুয়াদের ফেরানোর ব্যাপারে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিশেষ বিমানে দিল্লি পৌঁছানোর পরেই তাঁদের নিয়ে আসা হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বঙ্গভবনে। সেখান থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খরচায় কলকাতায় ফেরানোর ব্য়বস্থা করা হয়। যেভাবে বিদেশ বিভুঁইয়ে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে তাঁদের, সেই অভিজ্ঞতা কখনও ভোলার নয় বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনে মেডিক্যাল পড়তে যাওয়া বঙ্গ সন্তানরা। দেশে ফিরেই সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।