কোতয়ালি পুলিশ স্টেশনের ইন-চার্জ অনুপ যাদব জানিয়েছেন, গত সোমবার গভীর রাতে নিজের ঘরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রটি। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার একটি সরকারি স্কুলে গিয়ে অঙ্ক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল ১৭ বছরের ওই কিশোরের। ছেলেটির কাকা অনুপম তামরাকরের দাবি, আলাদা ঘরে শুয়েছিল দশম শ্রেণির ওই পড়ুয়া। পরীক্ষা দিতে যাওয়ার জন্য ভোর পাঁচটায় অ্যালার্ম দেওয়া ছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: অভিনয়ে সাবলীল প্রিয়াঙ্কা অনু কাপুরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে আপত্তি তুলেছিলেন, কেন জানেন?
দীর্ঘ সময় ধরে অ্যালার্ম বাজতে থাকায় পাশের ঘরে যান আত্মীয়রা। সেখানে গিয়েই তাঁরা দেখেন, ছেলেটি ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে। গত দু'বছর ধরে করোনাভাইরাসের কালবেলায় অনলাইনেই পড়াশোনা করেছে ছেলেটি। পরীক্ষাও দিয়েছে অনলাইনে। ছেলেটির বাবা অমিত তামরাকরের দাবি, স্কুলে গিয়ে সশরীরে পরীক্ষা দিতে হবে এই চাপে মানসিক অবসাদে ভুগছিল সে।
আরও পড়ুন: গলায় কামড়ে ধরায় পোষা ছাগলের তীব্র চিৎকার, ঘরে ঢুকতেই ভয়ংকর দৃশ্য!
তবে পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কারণ, ঘরে কোথাও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। ফলে কী কারণে এমন চরম সিদ্ধান্ত নিল ছেলেটি, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। রবিবার দিল্লির মায়াপুরী এলাকায় আরও এক ২০ বছরের ছেলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। একটি ঘটনার তদন্তে তাঁকে থানায় ডাকা হয়েছিল। ভয়েই এমন সিদ্ধান্ত বলে প্রাথমিক অনুমান।