রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিপুল রাজনৈতিক হিংসা ও অশান্তির স্বাক্ষী থেকেছে রাজ্য। গণনাপর্বে তার পুনরাবৃত্তি আটকাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ব্যাপক সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রতিটি গণনাকেন্দ্রেই মোতায়েন করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রতিটি গণনা কেন্দ্রে এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
advertisement
এছা়ডা রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ ও ভিন রাজ্যের পুলিশও গণনা কেন্দ্রের পাশাপাশি আশপাশের এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করবে। প্রতিটি গণনা কেন্দ্রে থাকছে সিসিটিভির নজরদারি। গণনা কেন্দ্রের বাইরে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। প্রথমে ভোটকর্মীদের ভোট গণনা করা হবে তারপর গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং পরিশেষে জেলা পরিষদের আসনে ভোট গণনা হবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানান, গণনা পর্ব পুরো শেষ হতে ১২ জুলাই পেরিয়ে যেতে পারে। শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের দিনই বিভিন্ন জেলা রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়ে ছিল।
আরও পড়ুন: বড় সুখবর! অবিবাহিতরাও পাবেন পেনশন! মাসে মাসে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে হাজার হাজার টাকা
রাজনৈতিক হিংসায় শুধু মাত্র ভোটের দিন প্রাণ হারিয়েছে ১৮ জন। জায়গায় জায়গায় ভোট লুঠ, ছাপ্পা, ব্যালট বাক্সে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অনেক বুথে একঘণ্টার মধ্যেই ভোট গ্রহণ শেষ হয়ে যায়। আবার কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখাও মেলেনি। বেশকিছু রাজনৈতিক সংঘর্ষে ভোটদান বন্ধ হয়ে যায়। ভোট শেষের পরেই জেলা প্রশাসনের থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে কোন জেলায় কতগুলি বুথে পুনরায় ভোট হবে তা সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন, রবিবারই তার তালিকা প্রকাশ করে কমিশন। সেই মতোই সোমবার রাজ্যের ৬৯৪ কেন্দ্রে হয় পুনর্নির্বাচন। অন্যদিকে পঞ্চায়েত ভোট রাজ্যের হানাহানি ষে ঘটনা ঘটেছে সেই নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনায় বিএসএফের আইজি এবং রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।