TRENDING:

ঋণের ফাঁদে জর্জরিত, দেশের এই রাজ্যগুলোর অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে!

Last Updated:

শুধু শ্রীলঙ্কা নয়, তথ্য বলছে, ভারতীয় ইউনিয়নের অংশ না হলে বেশ কয়েকটি রাজ্যের অবস্থাও এমনই হত।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: ঋণে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা (Srilanka Crisis)। অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছেছে এক কেজি চালের দাম দাঁড়িয়েছে ২৩০ টাকা। গুঁড়ো দুধ কিনতে হচ্ছে ১৯০০ টাকায়। তবে শুধু শ্রীলঙ্কা নয়, তথ্য বলছে, ভারতীয় ইউনিয়নের অংশ না হলে বেশ কয়েকটি রাজ্যের অবস্থাও এমনই হত। কেন? এর কারণ হল, নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলির জনমোহিনী ঘোষণা, যেগুলো পূরণ করতে গিয়ে অতিরিক্ত ঋণ নিতে হয় রাজ্যগুলিকে।
ঋণের ফাঁদে জর্জরিত, দেশের এই রাজ্যগুলোর অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে
ঋণের ফাঁদে জর্জরিত, দেশের এই রাজ্যগুলোর অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে
advertisement

এই বিষয়টা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন দেশের অনেক শীর্ষ আমলাই। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরের সচিবদের দীর্ঘ বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই কয়েকজন সচিব প্রকাশ্যে এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এই সচিবদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। তাঁদের মতে, অনেক রাজ্যের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। বিভিন্ন জনমোহিনী প্রকল্প বেশি দিন চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। অবিলম্বে এই প্রবণতা বন্ধ না হলে অনেক রাজ্যই আর্থিকভাবে সমস্যায় পড়বে।

advertisement

আরও পড়ুন-ভাড়া বৃদ্ধি ঠেকাতে আজ অ্যাপ ক্যাব নিয়ে বৈঠকে বসছে রাজ্য

যেসব রাজ্যে ঋণের বোঝা সবচেয়ে বেশি সেগুলি হল পঞ্জাব, দিল্লি, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই রাজ্যগুলিতে ফ্রি রাজনীতির চল সবচেয়ে বেশি। তবে এক্ষেত্রে আম আদমি পার্টি, তৃণমূল বা বিজেপি, কোনও রাজনৈতিক দলই পিছিয়ে নেই। ফলে অতিরিক্ত ঋণ নিতে হচ্ছে। যার চাপ পড়ছে রাজ্যের কোষাগারে। বেহাল হচ্ছে অর্থনৈতিক অবস্থা। ছত্তিসগড়, রাজস্থানের মতো রাজ্য পুরনো পেনশন স্কিম চালুর ঘোষণা করেছে। দিল্লির মতো রাজ্য বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দিচ্ছে যা রাজকোষের উপর বোঝা বাড়াচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ, গোয়ায় বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস দেওয়া ছাড়াও একাধিক ‘ফ্রি’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিল বিজেপিও।

advertisement

আরও পড়ুন-আর ক্লাস বন্ধ নয় শিলিগুড়ির এই স্কুলে, বিকল্প শিক্ষালয়, খুশি পড়ুয়া থেকে অভিভাবকেরা

বিভিন্ন রাজ্যের বাজেট অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে রাজ্যগুলির ঋণের বোঝা গত ১৫ বছরে সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছে। রাজ্যগুলির গড় ঋণ তাদের জিডিপি-র ৩১.৩ শতাংশ। একইভাবে সমস্ত রাজ্যের মোট রাজস্ব ঘাটতি ১৭ বছরে সর্বোচ্চ ৪.২ শতাংশে পৌঁছেছে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ঋণ এবং জিএসডিপি (গ্রস স্টেট ডোমেস্টিক প্রডাক্ট)-এর অনুপাত সর্বোচ্চ ছিল পঞ্জাবে, ৫৩.৩ শতাংশ।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কৃষিকাজে বিপ্লব ঘটাতে চাষিদের পাশে দুর্গাপুরের সিএমইআরআই কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের বিজ্ঞানীরা
আরও দেখুন

এর অর্থ হল, পঞ্জাবের ডিজিপি-র ৫৩.৩ শতাংশই ঋণ। একইভাবে রাজস্থানের অনুপাত ৩৯.৮ শতাংশ, পশ্চিমবঙ্গের ৩৮.৮ শতাংশ, কেরলের ৩৮.৩ শতাংশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ঋণ-জিএসডিপি অনুপাত ৩৭.৬ শতাংশে পৌঁছেছে। এই সমস্ত রাজ্যগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে রাজস্ব ঘাটতি অনুদান পায়। এমনকী, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাতের মতো অর্থনৈতিক দিক থেকে শক্তিশালী রাজ্যগুলির ঋণের বোঝা ক্রমশ বাড়ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী গুজরাতের ঋণ-জিএসডিপি অনুপাত ২৩ শতাংশ এবং মহারাষ্ট্রের ২০ শতাংশ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
ঋণের ফাঁদে জর্জরিত, দেশের এই রাজ্যগুলোর অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল