সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনফ্লুয়েন্সার মানে যে কেউ নিজের বক্তব্যের বাণিজ্যিকীকরণ করার চেষ্টা করেন। ফলে এবার থেকে কোনও কনটেন্ট যদি ‘নিষিদ্ধ’ বক্তৃতার আওতায় পড়ে, সেক্ষেত্রে দেশের বাক্স্বাধীনতার অধিকারকে অস্ত্র করতে পারবে না কেউ, জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত।
রণবীর আলাহাবাদিয়ার একটি অনলাইন অনুষ্ঠান ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। গোটা দেশে সেই ঘটনা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। ক্ষমা চেয়েও পার পাননি জনপ্রিয় ইউটিউবার। এর পর সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। সময় রায়না, বিপুল গয়াল, বলরাজ পরমজিৎ সিংহ ঘাই, সোনালি ঠাকুর এবং নিশান্তজগদীশ তনওয়ারেরও নাম জড়ায় ওই একই ঘটনায়। শীর্ষ আদালতে ইতিমধ্যে ক্ষমা চেয়েছেন পাঁচ জন। তবে তাতে চিড়ে ভিজল না। সোমবার আদালত নির্দেশ দিল, ওই পাঁচজনকে নিজেদের চ্যানেল থেকেও সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন- বিপদের মুখে লক্ষ লক্ষ মানুষ, অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের সতর্ক করল সরকার!
অনলাইনে রাখা বক্তব্যের গাইডলাইন স্থির করার জন্য ইতিমধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক আলোচনা করেছে। তবে অনলাইনে কে কী বক্তব্য রাখবেন তার সঙ্গে বাকস্বাধীনতার বিষয়টি জড়িয়ে রয়েছে। ফলে এই ব্যাপারটিকে সংবেদনশীল হিসেবে ধরছে শীর্ষ আদালত। আর তাই এই ব্যাপারে কোনও পাকাপাকি সিদ্ধান্তে পৌঁছতে তাড়াহুড়ো করতে চায় না আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, অনলাইনে কনটেন্ট তৈরির নাম করে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের নিয়ে মজা করতেও ছাড়ছেন না অনেকে। আর এই বিষয়টি সমাজের উপর গভীর প্রভাব ফেলছে।