শুক্রবার নিউজ ১৮-কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এই দাবি করেছেন খোদ ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বীন বৈষ্ণো। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করেছে রেলমন্ত্রক। কোভিড পরিস্থিতিতে চালু করা হয়েছিল এই স্পেশ্যাল ট্রেনগুলি। স্পেশ্যাল ট্রেনে নেওয়া হচ্ছিল বিশেষ ভাড়াও। সাক্ষাৎকারে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রায় ৯৫ শতাংশ এক্সপ্রেস ট্রেন ইতিমধ্যেই লাইনে নেমে পড়েছে। এবং এরই ২৫ শতাংশকে স্পেশ্যাল হিসেবে এতদিন চালানো হচ্ছিল। রেলমন্ত্রী বলেছেন, 'যাত্রীদের এই স্পেশ্যাল ট্রেনে ৩০ শতাংশ বেশি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছিল। মন্ত্রকের সিদ্ধান্ত শীঘ্রই এই স্পেশ্যাল ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হবে'।
advertisement
দেশে করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকেই এই স্পেশ্যাল ট্রেন চালানো শুরু করেছিল রেল। স্বাভাবিক সময়ে ট্রেনের যে ভাড়া দিয়ে যাত্রীরা যাতায়াত করতেন, করোনা পরিস্থিতিতে স্পেশ্যাল ট্রেনে তার চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি ভাড়া গুণতে হয়েছে। কোভিডের আগে প্রায় ১৭০০ মেল এক্সপ্রেস ট্রেন চালু ছিল, যা করোনার সময় একেবারে থমকে যায়। তবে পরে বেশ কিছু ট্রেন ফের চালানো শুরু করা হয়। করোনার আগে প্রায় ৩৫০০ প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলত। এই মুহূর্তে সেই সংখ্যা নেমে এসেছে প্রায় ১ হাজারে।
আরও পড়ুন: কাঁধের উপর অসুস্থ মানুষকে নিয়ে দৌড়, বীরাঙ্গনা সেই মহিলা পুলিশ অফিসারকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্নিশ
আরও পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ উপভোগ করতে এ বার পাকদণ্ডি বেয়ে হিমকন্যায় দার্জিলিং থেকে কার্সিয়ং
আরও পড়ুন: জয়েন্ট এন্ট্রান্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরীক্ষা হবে আগামী বছরের এপ্রিলে, অফলাইনেই হবে পরীক্ষা
রেলমন্ত্রী বলেছেন, 'কোভিড বিধি মেনে রেল স্পেশ্যাল ট্রেন চালানো শুরু করেছিল। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ট্রেেন যাত্রীসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা। এই মুহূর্তে ৯৫ শতাংশ মেল এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনে নেমে গিয়েছে। এরই ২৫ শতাংশ স্পেশ্যাল হিসেবে চলছে।' এছাড়াও ৭০ শতাংশ প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে মেল এক্সপ্রেস হিসেবে চালানো হচ্ছিল, যাতে বেশি ভাড়া গুণতে হয়েছে যাত্রীদের। খুব শীঘ্রই এই নিয়ম বদলে পুরনো ভাড়া ও নিয়মে ট্রেন চলবে বলে দাবি করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো।
আবীর ঘোষাল ও রাজীব চক্রবর্তী