তাঁর কথায়, " আমি তাঁদের কথা শুনতে পারব না। শুধু দিল্লি নেতাদের কথাই শুনব। তাঁদের দেখেই বিজেপিতে এসেছি।" তিনি কি দল ছাড়ছেন? সৌমিত্র স্পষ্ট জানান, বিজেপি তাড়িয়ে দিলেও দলেই থাকব। তিনি জানিয়েছেন, " অন্য কোনও নেতাকে মানব না। শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ ছাড়া কাউকে মানি না। শাস্তি দিলেও কিছু এসে যায় না।" দুদিন আগেই রাজ্যের কোর কমিটি গঠন করেছে বিজেপি। তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সৌমিত্র বলেছেন, " অযোগ্য ব্যক্তিদের মাথায় রেখে লড়াই করা কঠিন। শুভেন্দু দা, দিলীপ দা লড়ছেন। তবে বাকিরা অযোগ্য।" রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে শিক্ষানবিশ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতায় ফের টাকার পাহাড়! উল্টোডাঙায় রাতভর তল্লাশিতে উদ্ধার কোটি-কোটি টাকা! বিরাট অভিযান
একইসঙ্গে তাঁর দাবি " তিনি শিক্ষা নিচ্ছেন। এতগুলো কর্মীকে বিপদে ফেলে শিক্ষা নেওয়া ঠিক নয়।" সৌমিত্র খানের আরও দাবি যে কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে তার একজন দুজন বাদ দিয়ে বাকিরা শিক্ষানবিশ। এভাবে চললে তৃণমূলের থেকে নির্দল বেশি ব্যবধানে জিতবে বলে দাবি সৌমিত্র খাঁর।
আরও পড়ুন: 'সুস্থ হলেই আপনার সঙ্গে বৈঠক করব', কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে ফোন! বাংলার জন্য সুখবর?
নিউজ 18 বাংলা-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ''২০১৯ সালে বিজেপি করতে আসি প্রধানমন্ত্রী আর অমিত শাহকে দেখে। রাজ্য বিজেপির বিরোধ করছি মানে এই নয় যে, বিজেপি ছেড়ে দেব। তবে রাজ্যের কোন নেতা কী দায়িত্বে আছে, আমি ওসব নিয়ে ভাবিত নই। আমি প্রধানমন্ত্রী ও অমিত শাহের অনুগামী। সম্প্রতি যে ২৪ জনের কোর কমিটি তৈরি করা হল, যার মধ্যে ২০ জন বাংলার নেতা। সেখানে আমার জায়গা হল না। অথচ আমাকে দেওয়া হল রাঢবঙ্গের পঞ্চায়েতের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব।'' সৌমিত্রের সংযোজন, ''ওই কমিটির কী দাম আছে? ক্লাব কমিটির মতো বিজেপি চলছে। ক্লাব-কমিটি বছরে একবার হয়, বিজেপির বাংলা রাজ্য কমিটি বছরে চার বার পরিবর্তন হয়।''