ছেলে অবশ্য অসহায়ের মতো স্রেফ ভিডিও দেখে চোখের জল ফেলেনি। উপস্থিত বুদ্ধি প্রয়োগ করে কাজের কাজটা করে ফেলেছিলেন।
আমেরিকা থেকে গুগলে ইন্দৌর পুলিশের নম্বর সার্চ করেন ছেলে। মধ্যপ্রদেশের ইন্দৌরে মারধর করা হচ্ছিল তাঁর বাবাকে। তিনি আমেরিকায় বসে পুলিশের সহায়তায় বাবাকে বাঁচিয়েছেন।
আরও পড়ুন- ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত ভারতীয় পড়ুয়ার দেহ মেডিকেল কলেজে দান করার সিদ্ধান্ত পরিবারের!
advertisement
ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দৌরের জুনি এলাকায়। ভদ্রলোক ক্যালিফোর্নিয়ায় তাঁর ছেলের সঙ্গে ভিডিও কলে ছিলেন। সেই সময় তাঁর পরিচিত একজন এসে তাঁকে মারধর করতে থাকে। পরিবহন ব্যবসায়ী ওই ভদ্রলোক রুখে দাঁড়়ান। কিন্তু লাভ হয়নি।
বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার, মারধর লাইভ দেখল ছেলে তার পরই সুদূর আমেরিকায় বসে থানার নম্বর জোগাড় করে ফেলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু ততক্ষণে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। থানায় মামলা করেছেন ওই ব্যবসায়ী। অভিযুক্ত স্থানীয় এক বিজেপি নেতার আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হতেই ভাইরাল হয়ে যায়। উল্লেখ্য, ৬৩ বছর বয়সী কৈলাশচন্দ্র পারিক লোহামন্ডিতে পরিবহনের ব্যবসা করেন। শুক্রবার রাত আড়াইটে নাগাদ তিনি অফিসের বাইরে বসে ছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসকারী ছেলে অঙ্কিতের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছিলেন তিনি।
তাঁর ছেলে চাঁদমাল পারিক থাকেন বিদেশে। রোজই নিয়ম করে ছেলের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এদিনও তাই করছিলেন। সেই সময় চেনা একজন আসেন তাঁর অফিসে। দুপক্ষের কাটাকাটি শুরু হয়। তাঁদের মধ্যে বিবাদ বাড়লে কৈলাসকে মারধর শুরু করে সেই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন- করোনা ভুলে গোটা দেশ মেতে উঠল রঙের খেলায় ! দু'বছর পর এল খোলা হাওয়া
শোরগোল শুনে কৈলাসের কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করতে আসলেও অভিযুক্ত চেয়ার তুলে মারতে যায়। কৈলাসকে হত্যার চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ। ফোনে লাইভ সব দেখছিলেন কৈলাশের ছেলে অঙ্কিত।
বাবাকে লাইভে মার খেতে দেখে তিনি গুগলে ইন্দোর পুলিশের নম্বর সার্চ করেন। নম্বর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। খবর পেয়ে কৈলাসকে সাহায্য করতে পৌঁছে যায় পুলিশ। কিন্তু ততক্ষণে সেখান থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।