ডেটা বলছে যে সূর্য না কি এখন একেবারেই ঝিমিয়ে রয়েছে। এই ঝিমিয়ে থাকার ব্যাপারটা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। সৃষ্টির প্রথম যুগে মানুষ সূর্যের উপরে দেবত্ব আরোপ করলেও আসলে তো তা এক নক্ষত্র বই আর কিছু নয়। আর সেই নক্ষত্রের উত্তাপ বিকিরণ হয় তার বুকে ক্রমাগত ঘটে চলা আণবিক বিস্ফোরণের ফলে। এই আণবিক বিস্ফোরণ থেকে জন্ম নেয় একেকটি চক্র যাকে বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয়ে থাকে সানস্পট। একেকটি সানস্পটের মেয়াদ কাল হল ১১ বছর। তো, খবর বলছে যে সূর্য আপাতত ঝিমিয়ে রয়েছে, মানে সেখানে এখন কোনও সানস্পট চলছে না!
advertisement
এই জায়গাতে এসেই পড়তে হয় ভয়ের মুখে। যদি সানস্পট না চলে, তার মানে সূর্য এখন রয়েছে প্রায় ঘুমন্ত দশায়। এ ভাবেই যদি থেকে যায় সে, তা হলে সবিতৃর প্রভায় জগৎ উজ্জ্বল হবে কী করে? প্রকৃতিই বা সৌরালোক পুষ্ট হয়ে কী ভাবে রক্ষা করবে তার বহমান প্রাণের ধারা?
বিজ্ঞানীরা অবশ্য বলছেন যে ভয় নেই- সূর্যের এই ঝিমিয়ে পড়াটাও এক স্বাভাবিক ঘটনা। সানস্পট-এর মধ্যে কিছু খুবই সক্রিয় দশা এবং একেবারে নিষ্ক্রিয় দশা- দুই দেখতে পাওয়া যায়। তাই আপাতত নিষ্ক্রিয় দশা চললেও মুষড়ে পড়ার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। খুব তাড়াতাড়িই আবার সক্রিয় দশায় ফিরবে সূর্য, শুরু হবে নতুন সানস্পট। অতএব, পৃথিবীতে রোদ আর উত্তাপ আসাও বন্ধ হবে না।