স্মৃতি ইরানির কথায়, দেশের সাংবিধানিক প্রধান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর উদ্দেশ্যে যে ভাষায় কথা বলেছেন রাজ্যের এক মন্ত্রী তার নিন্দার ভাষা নেই। আমি মনে করি এই অপমান দ্রৌপদী মুর্মুর নয়, দেশের মহিলাদের শুধু নয়, দেশের প্রধান সাংবিধানিক পদকে অপমান। শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র সুর চড়িয়ে স্মৃতি ইরানি এও বলেন, ‘‘আমরা অবিলম্বে তৃণমূলের ওই নেতার অপসারণ চাই।’’
advertisement
আরও পড়ুন- কিরেন রিজিজু- কাশ্মীর নিয়ে নেহরুর ৫ ভুল- প্রকৃত ঘটনা
রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে অখিল গিরির মন্তব্য নিয়ে রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশজুড়ে। জায়গায় জায়গায় হচ্ছে আন্দোলনও। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি অখিল ইস্যুকে হাতিয়ার করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আদিবাসী অস্ত্রে শান দিতে ময়দানে নেমেছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমাদের দলের সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় দিল্লিতে অভিযোগ করেছেন। শুধু লকেট নন, অনেকেই অভিযোগ দায়ের করছেন। আগামী দিনেও করবেন। খগেন মুর্মু ব্যক্তিগতভাবে আহত হয়েছেন। তাই তিনি তাদের জনজাতির পক্ষ থেকে আজ অভিযোগ দায়ের করবেন। পাশাপাশি এ রাজ্যের একাধিক থানাতে অখিল গিরির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হলেও সেই অভিযোগ এখনও পর্যন্ত পুলিশ এফআইআর হিসেবে গণ্য করে তদন্ত শুরু করেনি। তাই আমরা মনে করি অখিল গিরির এই মন্তব্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্রয় রয়েছে।’’
আরও পড়ুন- নজরে ‘তরুণের স্বপ্ন’, আজ ৮ লক্ষেরও বেশি পড়ুয়াকে ট্যাব দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ‘‘আমরা তো কখনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষা বা রূপ নিয়ে কটাক্ষ করিনি।’’ রাজ্য বিজেপির পাশাপাশি এবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফেও অখিল গিরি ইস্যুতে সরব হলেন স্মৃতি ইরানি। বিজেপি সূত্রের খবর, ‘‘অখিল গিরি ইস্যুতে সোমবার বিজেপির পরিষদীয় দল তিনটের সময় বিধানসভায় জরুরী বৈঠকে বসছে। সেখানে শীতকালীন অধিবেশনে এই ইস্যুতে কিভাবে শাসক দলকে তথা সরকারকে চাপে ফেলা হবে তা নিয়ে আলোচনা হবে। অখিল গিরি ইস্যুতে বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে প্রস্তুত গেরুয়া শিবির। বিধানসভায় আগামী অধিবেশনে অখিল গিরির মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নিন্দা প্রস্তাবও আনতে পারে বিজেপি।