এর পাশাপাশি, নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষণ, শিবসেনার বর্তমান সংবিধান অগণতান্ত্রিক। কোনও নির্বাচন ছাড়াই অগণতান্ত্রিকভাবে একটি গোষ্ঠীর লোকেদের পদাধিকার বলে নিয়োগ করা হয়েছে এই দলে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এ ধরনের দলীয় কাঠামো মানুষের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হবে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টাও কাটল না! ভোট পরবর্তী হিংসায় রক্তারক্তি ত্রিপুরায়
২০২২ সালের জুন মাসে ৩৬ জন বিধায়কের সমর্থন নিজের দিকে টেনে উদ্ধব ঠাকরেকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি থেকে হঠিয়ে দেন একদা ঠাকরে পরিবারের অনুগত শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে। অবশ্যই, এবিষয়ে তাঁকে সাহায্য করেছিল বিজেপি। সেই সময় থেকেই শিন্ডে দাবি করেছিলেন, তাঁরাই 'আসল' শিবসেনা। দলের 'মালিকানা' প্রসঙ্গে কমিশনের কাছে উদ্ধব ও শিন্ডে দুই গোষ্ঠীই নিজেদের দাবি রেখেছিল। অবশেষে, জয়ী হল শিল্ডে শিবির। শিবসেনার নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক তির-ধনুক প্রতীক দুই-ই ব্যবহারের অনুমতি পেলেন তাঁরা।
advertisement
এদিকে এদিন কমিশনের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরে উদ্ধব শিবিরের অরবিন্দ সাওয়ান্ত জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
এদিনের নির্দেশে কমিশন জানিয়েছে, ২০১৮ সালে শিবসেনার সংশোধিত সংবিধান ভারতের নির্বাচন কমিশনের কাছেও পাঠানো হয়নি। ১৯৯৯ সালে কমিশনের নির্দেশেই প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরে পার্টি সংবিধানে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি প্রবর্তনের কাজ করেছিলেন।
কমিশনের দাবি,শিবসেনার মূল সংবিধানের অগণতান্ত্রিক নিয়ম যেগুলো ১৯৯৯ সালেও কমিশন স্বীকৃতি দেয়নি, গোপন পদ্ধতিতে সেগুলিই ফিরিয়ে আনা হয়েছিল শিবসেনার দলীয় সংবিধানে।