মুম্বই সফরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, ইউপিএ-এর আর কোনও অস্তিত্ব নেই৷ সামনায় কিন্তু বলা হয়েছে, "নরেন্দ্র মোদির এই মুহূর্তে এনডিএ-র প্রয়োজন নেই তবে, আমাদের ইউপিএ প্রয়োজন রয়েছে।"
মুম্বই সফরে গিয়ে এনসিপি সুপ্রিমো এবং মরাঠা স্ট্রংম্যান শরদ পাওয়ার, এনসিপি নেতা তথা উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তৃণমূল নেত্রী। পরে সাংবাদিক সম্মেলন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ইউপিএ শেষ হয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে নতুন চিন্তাভাবনা দরকার দেশে। দিল্লিতে তৃণমূল নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন বলেছেন ২০০৪ সালে শুধুমাত্র সরকার গঠন এবং চালানোর জন্য ইউপিএ জোট তৈরি করা হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: মমতার 'ইউপিএ নেই' বাণে আরও শান দিলেন ডেরেক! বললেন...
চলতি শীতকালীন অধিবেশনেও কংগ্রেসের সঙ্গে কক্ষ বিন্যাসে খুব একটা দেখা যাচ্ছে না তৃণমূলকে। গতকাল রাজ্যসভায় ২৬৭ ধারায় অন্যান্য আলোচনা বন্ধ রেখে ত্রিপুরার হিংসা নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস, এনসিপি সহ বিরোধীরা। সেখানে ছিল না তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী সপ্তাহে তারা নতুন কোনও কর্মসূচি তুলতে পারে বলে সূত্রের খবর।
কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব তৈরি করার চেষ্টা নিয়েই সমালোচনা করা হয়েছে সামনায়। শিব সেনার দাবি, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিকল্প বা সমান্তরাল জোট তৈরির চেষ্টা বিজেপির হাত শক্ত করতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘নের্তৃত্ব স্বর্গ থেকে পাওয়া অধিকার নয়’, প্রশান্ত কিশোরের নিশানায় রাহুল! মুখ তবে মমতাই?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার চালাচ্ছে শিবসেনার নেতৃত্বাধীন মহা বিকাশ আগারি। দিন কয়েক আগেই দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে সেকথা তুলে ধরেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। জোড়াফুল শিবিরের দাবি, মহারাষ্ট্র যেমন কংগ্রেসে, এনসিপি ও শিবসেনার জোট সরকার, তামিলনাড়ুতে ভোটের আগে কংগ্রেসের সঙ্গে ডিএমকের জোট হয়েছিল। যদিও তৃণমূলের কোনও প্রাক নির্বাচনী জোট বা জোট সরকার নেই। একক ক্ষমতায় তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে বলে জানান তৃণমূল নেতারা। ফলে অন্য দলের সঙ্গে কর্মসূচিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূলের কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। দল নিজেদের কর্মসূচি অনুযায়ী চলবে বলে বার্তা দিয়েছে মমতা শিবির।
তবে, কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনে ইস্যুভিত্তিক ক্ষেত্রে অন্যান্য বিরোধী দলের সমর্থনে কোনও সমস্যা নেই বলে জানিয়েছে তৃণমূল। এমনিতে শিবসেনার সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক ভাল। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বৈঠক না হয়ে তাঁর ছেলের সঙ্গে বৈঠক সেই সম্পর্কে কিছুটা শীতলতা এনেছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।