একনাথ শিন্ডের দাবি ছিল, যেহেতু দলের দুই- তৃতীয়াংশ বিধায়কের সমর্থনই তাঁদের দিকে রয়েছে, তাই দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করা সম্ভব হবে না৷ কিন্তু শিবসেনার আইনজীবীর পাল্টা দাবি, যদি ওই বিধায়করা অন্য কোনও দলে যোগ দিতেন, সেক্ষেত্রে তাঁদের বিধায়ক পদ বাতিল হত না৷ কিন্তু তাঁরা স্বেচ্ছায় দলের সদস্যপদ ছেড়েছেন, তাই দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগে কোনও বাধা নেই৷
advertisement
আরও পড়ুন: ‘‘আবার দেখা যদি হল সখা’’, ভোটের ফলের দিনে দেখা হওয়ায় সৌজন্য বিনিময় মাণিক ও সুদীপের
দলের সিংহভাগ বিধায়কই একনাথ শিন্ডের শিবিরে যোগ দেওয়ায় এবার আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন উদ্ধব ঠাকরে, আদিত্য ঠাকরেরা৷ খাতায় কলমে শিসেনার হাতে ৫৫ জন বিধায়ক রয়েছেন৷ কিন্তু তাঁদের মধ্যে চল্লিশ জনেরও বেশি বিধায়কের সমর্থন তাঁর দিকে রয়েছে বলে দাবি করেছেন একনাথ শিন্ডে৷ এখনও গুয়াহাটিতেই রয়েছেন একনাথ শিন্ডে ও তাঁর অনুগামী বিধায়করা৷ রবিবার মহারাষ্ট্রের আর এক মন্ত্রী উদয় সামন্তও গুয়াহাটি পৌঁছে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন৷
ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের এই রাজনৈতিক টানাপোড়েন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গড়িয়েছে৷ সোমবারই শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি হতে পারে৷ বিদ্রোহী শিবিরের বিধায়ক দীপক কেসরকার শনিবার দাবি করেছিলেন, বিদ্রোহী শিবিরের হাতেই দুই তৃতীয়াংশ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে৷ বিধানসভায় তাঁরা নিজেদের ক্ষমতা প্রমাণেও তৈরি৷ তবে তারা যে অন্য কোনও দলের সঙ্গে মিশে যাবেন না, সেটাও স্পষ্ট করে দেন ওই বিদ্রোহী বিধায়ক৷
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের মহাসঙ্কটে এবার Supreme Court! শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করল শিন্ডে শিবির
যদিও শিবসেনার আইনজীবী দেবদত্ত কামাথের দাবি, ২০০৩ সাল থেকেই অন্য দলের সঙ্গে না মিশলে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করার নিয়ম চালু হয়৷ শিবসেনার সাংসদ অরবিন্দ সাওয়ান্তেরও দাবি, মূল দলের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়ে পরিষদীয় দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও তার কোনও মূল্য নেই৷ শিবসেনার আইনজীবী আরও দাবি করেছেন, স্পিকার অনুপস্থিত থাকলে তাঁর জায়গায় বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারই দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করার মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং সেই প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন৷
ইতিমধ্যেই একমাথ শিন্ডে সহ ১৬ জন বিদ্রোহী বিধায়কের বিরুদ্ধে কেন দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে িচঠি দিয়েছেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার৷ আজ, ২৭ জুনের মধ্যে বিদ্রোহী বিধায়কদের থেকে জবাব তলব করা হয়েছে৷