আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীকে রাজনীতির প্রশ্ন করা আমার কাজ নয়: ২০১৯-এর আড্ডা বিষয়ে অক্ষয় কুমার
মঙ্গলবার তাঁর সিমলা সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুরকে দীপক শর্মা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। পরে রিজ ময়দানে এক সমাবেশে নিজের ভাষণে বিষয়টি উল্লেখ করেন জয় রাম। তিনি জানান, হিমাচল প্রদেশের সাধারণ বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির যোগাযোগের বিষয়টি অনুমান করা যায় সামান্য কিছু বিষয় থেকেই। নরেন্দ্র মোদি এতকাল পরেও জিজ্ঞাসা করেন দীপক শর্মা এখনও পায়ে হেঁটে জাখু মন্দিরে যান কী না।
advertisement
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে শিমলা পৌর কর্পোরেশনের মনোনীত কাউন্সিলর দীপক শর্মা জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদি যে তাঁকে স্মরণ করেছেন এবং তাঁর সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন এটা জানতে পেরে তাঁর আনন্দের সীমা ছিল না। দীপক জানান, নরেন্দ্র মোদি ১৯৯৭-৯৮ সালে রাজ্য বিজেপির দায়িত্বে থাকাকালীন তাঁর ভোজনশালা, দীপক বৈশব ভোজনালয় এবং সিমলার মধ্য বাজারে অবস্থিত তাঁদের বাসভবনে প্রায়ই যেতেন।
দীপক শর্মা জানান, নরেন্দ্র মোদি বছরে দু’বার নবরাত্রির সময় উপোস করতেন। মার্চ মাসে প্রথম নবরাত্রির সময় নরেন্দ্র মোদি শুধুমাত্র জল খেতেন এবং দশেরার আগে দ্বিতীয় নবরাত্রির সময় তিনি ফল খেতেন। দীপক শর্মা আরও জানান, নরেন্দ্র মোদি ১৯৯৭ সালে দ্বিতীয় নবরাত্রির সময় পিটারহফ হোটেলে উঠেছিলেন। তখন তিনি দীপকের স্ত্রী সীমা শর্মাকে তাঁর জন্য খিচুড়ি রান্না করতে বলেছিলেন।
আরও পড়ুন- "৫০০ বছরের সাধনা সিদ্ধিতে পরিণত হল": রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে পুজো দিলেন যোগী
সীমা শর্মা জানান, খিচুড়ি সেবার তাঁর মন মতো না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁকে ডেকে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন এবং সীমাকে শেখান কীভাবে নিখুঁত ভাবে সাবু দানার খিচুড়ি রান্না করতে হয়। “তারপর থেকে যখনই আমি সাবু দানা খিচুড়ি রান্না করি মোদিজি যেভাবে আমাকে শিখিয়েছিলেন, সেভাবেই রান্না করি,” প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন সীমা। দীপক শর্মা জানান, তিনি গত ৩২ বছর ধরে প্রতিদিন সিমলার বিখ্যাত জাখু মন্দিরে যান এবং রাজ্য বিজেপির প্রধান থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী মোদিও তাঁর সঙ্গে ১০/১২ বার মন্দিরে গিয়েছিলেন।