ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, দিনের আলোয় পাবলিক ট্রান্সপোর্টে চেপে যাতায়াত করতে নিরাপদ বোধ করেন ৭০ শতাংশ উত্তরদাতা। তবে দেখা গিয়েছে যে, রাতে এই পরিমাণটা নেমে এসেছে মাত্র ৩৬ শতাংশে। আর ৩১ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন যে, তাঁরা অসুরক্ষিত বোধ করেন। এর পাশাপাশি মাত্র ৪৪ শতাংশ মহিলা পাবলিক ট্রান্সপোর্টকে মহিলা-বান্ধব বলে মনে করেন। অন্যদিকে, ২৭ শতাংশ মানুষ এটিকে অনিরাপদ বলে মনে করেন। আবার প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ পাবলিক ট্রান্সপোর্টকে রাইড-হেলিং অ্যাপের তুলনায় নিরাপদ বলে মনে করেন। তবে মাত্র ১৩ শতাংশ উল্টোটাই মনে করেন।
advertisement
মূল যে বিষয়গুলি জানা গেল:
১. মাত্র ৪৪ শতাংশ উত্তরদাতা পাবলিক ট্রান্সপোর্টকে মহিলা-বান্ধব বলে মনে করেন।
২. মাত্র ২৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন যে, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট মহিলাদের জন্য নিরাপদ নয়।
৩. আবার ৭০ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন যে, দিনের আলোয় একা পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াত করা নিরাপদ।
৪. মাত্র ৩০ শতাংশ উত্তরদাতা দিনের বেলায় পাবলিক ট্রান্সপোর্টে একা যাতায়াত করার সময় পুরোপুরি ভাবে নিরাপদ বোধ করেন না। কিংবা তাঁদের মনে উদ্বেগ থাকে।
৫. মাত্র ৩৬ শতাংশ উত্তরদাতা রাতে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে একা যাতায়াত করার সময় নিরাপদ বোধ করেন।
৬. মাত্র ৩১ শতাংশ উত্তরদাতা রাতের বেলায় পাবলিক ট্রান্সপোর্টে একা যাতায়াত করতে অসুরক্ষিত বোধ করেন।
৭. আবার ৪৯ শতাংশ উত্তরদাতার বিশ্বাস যে, রাইড-হেলিং অ্যাপের তুলনায় পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বেশি নিরাপদ।
৮. মাত্র ১৩ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন যে, পাবলিক ট্রান্সপোর্টের তুলনায় রাইড-হেলিং অ্যাপ বেশি নিরাপদ।
আসলে এই She Shakti Suraksha Survey 2025-র লক্ষ্য হল, বাড়ি, কাজের জায়গা এবং সামাজিক বৃত্তের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহিলাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ধারণা পরিমাপ করা। গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিদ্যমান আইনি সুরক্ষা এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সত্ত্বেও, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ নারীদের গতিশীলতা, শিক্ষা, অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ এবং সামগ্রিক নিরাপত্তার অনুভূতিকে প্রতিনিয়ত খর্ব করে চলেছে।
আরও পড়ুনঃ তিন স্বীকারোক্তি, দুটি লকড ডিভাইস, মুখে আঘাতের চিহ্ন, রানিয়া রাও সোনা পাচার কাণ্ডে নয়া মোড়
সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে যে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ মোকাবিলার জন্য স্বচ্ছ এবং প্রতিক্রিয়াশীল প্রক্রিয়াগুলি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও পরিবহণ পরিষেবার প্রতি আস্থা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই সমীক্ষায় বয়স, শিক্ষার স্তর, বৈবাহিক অবস্থা এবং পারিবারিক আয়-সহ জনসংখ্যাগত কারণগুলি কীভাবে নারীর নিরাপত্তার ধারণাকে প্রভাবিত করে, তা-ও পরীক্ষা করা হয়েছে। তথ্যগুলি থেকে জানা যায় যে, নিরাপত্তা অভিজ্ঞতাগুলি অভিন্ন নয়, বরং বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক কারণ দ্বারা গঠিত।
সমীক্ষাটিতে প্রথম বছরে ২০টি শহরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ভবিষ্যতে এটি ১০০টিতে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। কম্পিউটার অ্যাসিস্টেড টেলিফোন ইন্টারভিউয়িংয়ের মাধ্যমে ১০টি ভারতীয় ভাষায় প্রায় ৮০০০ মহিলার কাছ থেকে জবাব সংগ্রহ করা হয়েছে।