শিলিগুড়ি করিডর—যা ‘চিকেন নেক’ নামে পরিচিত—কে ভারতের সবচেয়ে বড় কৌশলগত উদ্বেগের কারণ হতে পারে বলেই মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর৷ তিনি বলেন, এই সরু ভূখণ্ডটি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে যুক্ত করে এবং এর দু’পাশেই বাংলাদেশ অবস্থিত। তাঁর মতে, একদিন ভারতকে এই অঞ্চল সুরক্ষিত করতে ২০–২২ কিলোমিটার জমি নিতে হতে পারে—তা কূটনীতির মাধ্যমে হোক বা বলপ্রয়োগে। তিনি চিকিৎসাবিজ্ঞানের উদাহরণ টেনে বলেন, ওষুধ কাজ না করলে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
advertisement
চিকেন নেক প্রসঙ্গে শর্মা একে “অসমাপ্ত এজেন্ডা” বলেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এর সময় ও পদ্ধতি নির্ধারণ করবে কেন্দ্র সরকার এবং সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। “আমাদের অধৈর্য হওয়া উচিত নয়। ইতিহাসের নিজস্ব সময় আছে,” তিনি যোগ করেন।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী নেতৃত্বকে নিশানা করে শর্মা বলেন, মহম্মদ ইউনুসের সরকার বেশি দিন টিকবে না। তাঁর দাবি, বর্তমান শাসন ভারত, বিশেষত সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জন্য গভীরভাবে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
বাংলাদেশ সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নিয়েও সরব অসমের মুখ্যমন্ত্রী৷ দিপু দাসের হত্যা প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ধর্ম নির্বিশেষে যে কোনও মানুষের ওপর নৃশংসতা অগ্রহণযোগ্য। ‘অসমের ৪০% মানুষ বাংলাদেশি, আমরা বারুদের স্তূপের ওপর বসে আছি’৷
অসমের জনসংখ্যা পরিবর্তন নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বর্তমানে রাজ্যের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত, যেখানে স্বাধীনতার সময় এই হার ছিল মাত্র ১০–১৫ শতাংশ। তিনি পরিস্থিতিকে “বারুদের স্তূপের ওপর বসে থাকা”-র সঙ্গে তুলনা করেন।
তিনি আরও বলেন, ২০২৭ সালের জনগণনা অনুযায়ী অসমে হিন্দু ও মুসলিম জনসংখ্যা সমান হয়ে যেতে পারে। এই জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের কারণে অসম শাসন করা দিন দিন আরও জটিল হয়ে উঠছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
