ক্যাপ্টেন সুনীল কুমার চৌধুরী গোর্খা রেজিমেন্টের শ্রেষ্ঠ ঐতিহ্য—সাহসিকতা, শৃঙ্খলা এবং কর্তব্যের প্রতি অবিচল নিষ্ঠার মূর্ত প্রতীক ছিলেন। আসামে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সময় তিনি অসাধারণ সাহস ও নেতৃত্বেরপরিচয় দেন, যার জন্য তাঁকে সেনা পদক প্রদান করা হয়। কর্তব্যের ঊর্ধ্বে গিয়েঅসাধারণ বীরত্ব প্রদর্শন এবং সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের জন্য তাঁকেমরণোত্তরভাবে কীর্তি চক্র প্রদান করা হয়।
advertisement
হাই-স্পীড ৪৫০০ এইচপি ডব্লিউডিপি৪বি টুইন স্ট্রোক ডিজেললোকোমোটিভটি, যা প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও তার ধারাবাহিক পারফরম্যান্সেরজন্য পরিচিত, এটি দৃঢ়তা, সহনশীলতা ও সেবার প্রতীক—এই মূল্যবোধগুলোভারতীয় রেল এবং সশস্ত্র বাহিনী উভয়ের সঙ্গেই গভীরভাবে সম্পর্কিত। এইলোকোমোটিভটি উৎসর্গ করার মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে সেই সশস্ত্রবাহিনী এবং অর্ধ-সামরিক বাহিনীর কর্মীদের সাহস ও আত্মত্যাগকে সম্মানজানাচ্ছে, যাঁরা অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক হুমকি থেকে জাতিকে রক্ষা করে।
এই উৎসর্গটি উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং শিলিগুড়ি করিডোরের জন্য বিশেষ তাৎপর্য বহন করে, এই অঞ্চলগুলির সঙ্গে গোর্খা রেজিমেন্টের দীর্ঘ ও গভীর সম্পর্ক রয়েছে, যারা ভারতের কৌশলগত সীমান্ত রক্ষা এবং এই অঞ্চলে শান্তিও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানিয়েছেন, ভারতীয় রেল যা দেশের জীবনরেখা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সংযোগস্থাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম, সাহসিকতার এই ঐতিহ্যের সঙ্গে নিজেকে গর্বের সঙ্গে যুক্ত করে। যখন লোকোমোটিভ নম্বর ৪০০২৪ রেলওয়ে নেটওয়ার্কেআগাবে, তখন এটি একটি মর্মস্পর্শী শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকবে—যা রেলকর্মী এবং সাধারণ নাগরিক উভয়কেই ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সৈন্যদেরদ্বারা করা সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে। এর আগেও উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল দেশের একাধিক বীর সন্তানদের স্মরণ করেছে এইভাবে।
