বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর আসানসোলে সাংসদ পদ ছেড়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর জায়গায় উপনির্বাচনে পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতাকে প্রার্থী করেছে জোড়াফুল শিবির। বিজেপি ইতিমধ্যেই তাঁদের দলের প্রাক্তন সাংসদের গায়ে বহিরাগত তকমা লাগিয়ে দিতে মরিয়া হয়ে পথে নেমেছে। আজ সেই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। তিনি বলেন, "যেভাবে সম্মান দিয়ে তিনি আমার নাম ঘোষণা করেছেন, সেখানে না করার কোনও প্রশ্নই নেই। বাংলার ভাষা, সংস্কৃতি, আমার খুবই পছন্দের। আমি অনেক বাংলা সিনেমা করেছি। প্রথম থেকেই বাংলার সঙ্গে আমার যোগাযোগ, আসা যাওয়া। আসানসোলে বাংলার অনেক লোকজন তো রয়েছেনই। সেইসঙ্গে পুরো ভারতবর্ষের মানুষ ওখানে থাকেন। বিহার, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ুর, মহারাষ্ট্র সহ সারা দেশের মানুষ থাকেন আসানসোল, দুর্গাপুরে থাকেন।"
advertisement
আরও পড়ুন: দরজায় কড়া নাড়ছে 'বিপদ', বড় সিদ্ধান্ত নিলেন অনুব্রত মণ্ডল!
বিজেপির বহিরাগত তত্ত্ব নিয়ে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, "আমায় যদি বহিরাগত বলা হয়, তাহলে মোদিজী বারাণসীতে কী? এক হিন্দুস্তান, তাহলে কেন একটি রাজ্যে মানুষ সীমিত থাকবেন? আমি আজ যে নাম, যশ, খ্যাতি যাই অর্জন করেছি, সেটা শুধুমাত্র একটি প্রদেশ থেকেই নয়। বিহার, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, বাংলা সবাই পছন্দ করেছেন বলেই আমি সবার গ্রহণযোগ্য তারকা হতে পেরেছি। হিন্দুস্তানকে এভাবে ভাগ করা যায় কি?"
আরও পড়ুন: আনিস খানের মৃত্যু তদন্তে আর এক মাস সময়! গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের!
শত্রুঘ্ন সিনহা বলেছেন. "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার অনেকদিনের পুরনো সম্পর্ক। তিনি খুবই স্নেহপ্রবণ, ভাল মানুষ। এটা আমার কাছে খুব পাওনা , তিনি নিজে আমার নাম ঘোষণা করেছেন।" এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'বাংলার বাঘিনী' বলে সম্মোধন করলেন অভিনেতা, রাজনীতিবিদ। তাঁর মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেত্রী দেশে বিরল। শত্রুঘ্ন সিনহা জানান, তিনি শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পছন্দ করেন সেটাই নয়, তিনি তৃণমূল নেত্রীর ভক্ত।