সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সনিয়া গান্ধির সঙ্গে বৈঠকে শশী থারুর বলেন, " আমার কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচনে লড়াই করার ইচ্ছে আছে। আমি লড়তে চাই।" সনিয়া গান্ধি তাঁকে জবাব দিয়েছেন, " কোনও আপত্তি নেই। আপনি লড়তে পারেন।"
আরও পড়ুন: হাত বদল হয়ে যাচ্ছে সম্পত্তি, দিল্লিতে সায়গলের মা- স্ত্রীকে তলব করল ইডি
advertisement
আরও পড়ুন: ওয়াকিটকির হাতেই তুলি, মা দুর্গার চক্ষুদানে ব্যস্ত ‘কনস্টেবল’ সুকুমার
এর আগে মালায়ালাম দৈনিক ‘মাতৃভূমি’তে “অবাধ ও সুষ্ঠু” নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে একটি প্রবন্ধ লেখেন তিনি। তাতে শশী জানান, আদর্শগতভাবে দলের উচিত ছিল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (সিডব্লিউসি) বহু বহু আসনের জন্যও নির্বাচন ঘোষণা করা। শশী এও জানান, যে ২৩ জন নেতা ২০২০ সালে কংগ্রেস প্রধান সনিয়া গান্ধিকে সাংগঠনিক সংস্কার চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন, তিনি তাঁদের মধ্যে ছিলেন। “একজন নতুন সভাপতি নির্বাচন করা হল আসলে দলের পুনরুজ্জীবনের একটি সূচনা, যা এই মুহূর্তে কংগ্রেসের খুব প্রয়োজন,” বলেন তিরুবনন্তপুরমের এই সাংসদ।
সামগ্রিকভাবে দলের পুনর্নবীকরণের প্রয়োজন। তবে সবচেয়ে জরুরি নেতৃত্বের অবস্থান যা পূরণ করার জন্য নতুন কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন প্রয়োজন বলেই মনে করেন শশী থারুর। তিনি বলেন, “দলের কী সমস্যা আছে তা ঠিক করার জন্য সভাপতির একটি পরিকল্পনা থাকা উচিত, পাশাপাশি ভারতের জন্য একটি দৃষ্টিভঙ্গি। একটি রাজনৈতিক দল দেশের সেবা করার হাতিয়ার, নিজেই নিজে ফুরিয়ে যাওয়ার জন্য নয়। যেভাবেই হোক, একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়াই সমস্যা সমাধানের জন্য সুস্থ উপায়,” মনে করেন শশী। দলের নানা পদ ছেড়েছেন একাধিক প্রবীণ নেতা। সেই প্রসঙ্গে শশী বলেন, “মূল্যবান এই সহকর্মীদের প্রস্থানে আমি ব্যক্তিগতভাবে দুঃখিত, কারণ আমি চাইতাম যে এই বন্ধুরা দলে থাকুক এবং দলের সংস্কারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাক।”
দলের অভ্যন্তরীণ উত্থান-পতনের মুখোমুখি হয়ে, কংগ্রেস ঘোষণা করেছে যে দলীয় সভাপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৭ অক্টোবর। ফল ঘোষণা করা হবে ১৯ অক্টোবর। নির্বাচনের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে ২২ সেপ্টেম্বর। মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হবে ২৪ সেপ্টেম্বর এবং চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।