এক ফ্রেমে সাত সাংসদ। কেউ তৃণমূলের। কেউ কংগ্রেসের। কেউ আবার এনসিপির। শশী থারুরের ট্যুইট করা এই ছবি ঘিরেই তুঙ্গে বিতর্ক। মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান, সুপ্রিয়া সুলে, প্রণীত কউরদের সঙ্গে হাসি মুখে ছবি পোস্ট করে শশী থারুর লিখেছেন, ‘‘কে বলে লোকসভা কাজের জন্য আকর্ষণীয় জায়গা নয়? ছয় সহকর্মী সাংসদের সঙ্গে ৷’’
advertisement
আরও পড়ুন- লক্ষ্য ২০২৪, মুম্বইয়ে শরদ পাওয়ার, উদ্ধব ঠাকরেদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মমতা
আর এই পোস্টের পরেই সমালোচনার বন্যা। শশীর পোস্টের কমেন্টে ঝাঁঝাল আক্রমণ। নেটনাগরিকদের অনেকেরই প্রশ্ন, ‘‘মহিলা সাংসদদের কি ঘর সাজানোর জিনিস ভাবছেন? মহিলা সাংসদদের কাজ মোটেই সংসদকে আকর্ষণীয় করা নয় ৷’’
এই মন্তব্য লিঙ্গ-বৈষম্যেরই প্রকাশ৷ নানা মহলে সমালোচনা। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ক্ষমা চেয়ে নেন তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ ৷ শশী থারুরের ট্যুইট, ‘‘মহিলা সাংসদদের উদ্যোগে হালকা মেজাজে এই সেলফি তোলা হয়েছিল। মহিলা সহকর্মীরাই এই ছবি পোস্ট করতে বলেন। এতে অনেকের খারাপ লাগায় দুঃখিত। তবে কর্মক্ষেত্রে বন্ধুত্বের এই ছবিতে যোগ দিতে পেরে খুশি।’’
তবে লিঙ্গ-বৈষম্য মূলক কথার অভিযোগ রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে নতুন নয়। সংসদের ভিতরে বাইরে প্রচুর উদাহরণ ৷ গত সপ্তাহে বিতর্কে জড়ান রাজস্থানের মন্ত্রী কংগ্রেসের রাজেন্দ্র সিং গুধা। বলেন, রাস্তা হওয়া চাই ক্যাটরিনা কাইফের গালের মতো।
আরও পড়ুন- সেরার সেরা সেই মেসিই, সপ্তমবার ব্যালন ডি’অর জিতলেন আর্জেন্টিনীয় মহাতারকা
২০২০ সালে উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী ইমারতি দেবীকে ‘আইটেম’ বলেন কংগ্রেসের কমলনাথ ৷ ২০১৯ সালে সংসদে অধ্যক্ষের চেয়ারে বসা বিজেপির রমাদেবীকে নিয়ে আজম খানের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে ৷ ২০১৬ সালে মহিলারা সংসদে বসে শাড়ির গল্প করেন, এ কথা বলে সমালোচনার মুখে পড়েন NCP র সুপ্রিয়া সুলে।