কুশওয়াহা পরিবারের দাবি, আত্মহত্যার পিছনে রয়েছে প্রীতির ‘প্রেমিক’— যিনি তাঁদের আত্মীয়বর্গেরই একজন, এক দূর সম্পর্কের ভাই।
দুই বছর আগে এক আত্মীয়ের বিয়েতে প্রীতির সঙ্গে ওই যুবকের আলাপ। ধীরে ধীরে সম্পর্ক গাঢ় হয়। প্রীতি নাকি তাঁকে বিয়েও করেন গোপনে। আত্মহত্যার পর এক বন্ধুর শেয়ার করা চ্যাট ও ছবিতে প্রীতিকে ওই যুবকের থেকে মাথায় সিঁদুর নিতে দেখা গিয়েছে। চ্যাটে প্রীতি তাঁকে ‘পতিজি’ বলেও সম্বোধন করেছেন।
advertisement
“তুমি খুব সুন্দর, কেউ কেড়ে না নেয়”— প্রেমিকের কথায় মাথা মুড়িয়ে ফেলেছিলেন প্রীতি। পরিবার প্রথমে বিষয়টিকে হালকাভাবে নেয়। কিন্তু পরে জানা যায়, প্রেমিকের জন্যই প্রীতি চুল কেটে ফেলেন। বিষয়টি নিয়ে বোন হিমানির সঙ্গে তর্কও হয় তাঁর। শেষমেশ, ভাইকে দিয়ে ঘরে বসেই মাথা মুড়িয়ে নেন তিনি।
ইনস্টাগ্রামে ১৩ ও ১৯ মার্চে দেওয়া ভিডিওতেও রয়েছে বিষণ্ণতা। একটিতে লিখেছেন, “ও মেসেজ না করলেও আমি তো ওর মনে থাকব।” আরেকটিতে— “আগে পার্থক্য হত, এখন দেখা করাও হয় না।”
জানা গিয়েছে, আত্মহত্যার আগে প্রীতি অনলাইনে পিৎজ্জা ও কোল্ড ড্রিংক অর্ডার করেন। এরপর মাকে ফোন করেন। প্রেমিককেও ফোন করেছিলেন, কিন্তু উত্তর মেলেনি।
প্রীতির মা অনিতা কুশওয়াহার প্রশ্ন— “মোবাইলে এত কিছু প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ কেন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না?” পরিবারের দাবি, প্রীতির মোবাইল হ্যাক করে অনেক তথ্য ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে।
ভাই দীপেশ বলেন, “ও ছোট ছিল, আমাদের সবচেয়ে আদরের। জানতাম না গ্রামে এক আত্মীয়র ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছে। সব জানতে পারি আত্মহত্যার পর। ওর বন্ধুরা ছবি, চ্যাট শেয়ার করে— যেখানে দেখা যায় ছেলেটি সিঁথিতে সিঁদুর দিচ্ছে, আর হুমকিও দিচ্ছে।”
পরিবার অভিযোগ দায়ের করেছে ও দ্বারকা থানার ডিএসপি-র কাছে তদন্তের দাবি জানিয়েছে। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।