এবার ২১ জুলাই পালনে ত্রিপুরাকে আলাদা গুরুত্ব দিয়েছে তৃণমূল। কারণ পড়শি রাজ্যে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমেই তৃণমূল নিজেকে প্রসারিত করতে চেয়েছে। সেই মতো আগেভাগে ডাক পাঠানো হয়েছিল ত্রিপুরা প্রদেশ নেতৃত্বকে-কে। রাজনৈতিক মহলের মতে, ত্রিপুরাতেও বিজেপিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলে ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের আগে জাতীয় স্তরে যে বার্তা যাবে তাতে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সুবিধা হবে। দ্বিতীয়ত, মমতা বন্দোপাধ্যায় যে একমাত্র বিজেপি বিরোধী মুখ সেটাও বুঝিয়ে দেওয়া যাবে। তাই ত্রিপুরায় এখন থেকেই সংগঠনের ঝাঁজ বাড়াতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর আগামী বছর ত্রিপুরা রাজ্যে বিধানসভা ভোট রয়েছে। এই সব বিবেচনা করেই পোস্টার ছড়ানো শুরু হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: রাত হলেই বাড়ে গুন্ডাদের আনাগোনা, স্কুল হয়েছে আগাছার জঙ্গলে, ছাত্র সংখ্যা 'শূন্য'
কিন্তু বাধ সেধেছিল গত বছর করোনা। তৃণমূলের বক্তব্য, গত বছর ত্রিপুরার করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়নি, এমন অজুহাত সামনে রেখেই বিপ্লব দেব সরকার তৃণমূলকে বাধা দিতে চেয়েছে। কার্ফু জারি করে স্বাভাবিক ভাবেই জমায়েত করতে দেওয়া হয়নি। এবার সেই ছবি বদলেছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেস ২১ জুলাই পালন করেছে৷
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! পুকুরের জলে ভাসছিল মা ও ২ শিশুর মৃতদেহ, চাঞ্চল্য দক্ষিণ দিনাজপুরে
অবশ্য শুধু ত্রিপুরাই নয়। তৃণমূল নিজেদের অস্তিত্ব বৃদ্ধিতে মরিয়া, ফলে গুজরাত, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতেও আগামী দিনে সমাবেশ পালনের প্রস্তুতি রয়েছে তাদের। তবে বিধানসভা উপনির্বাচনে হেরে তৃণমূল কংগ্রেস একটু ব্যাকফুটে রয়েছে বলে মত অনেকের। এখন দেখার আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে, ত্রিপুরার ক্ষেত্রে কী রণকৌশল নেয় তৃণমূল।