২০১৪ সালে রূপান্তরকামীদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সংরক্ষণের আওতাভুক্ত করে সর্বোচ্চ আদালত ৷ পরে ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট রূপান্তরকামীদের শিক্ষা-চাকরি-সহ নানা ক্ষেত্রে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয় ৷ কিন্তু একইসঙ্গে কেন্দ্র প্রশ্ন তোলে তৃতীয় লিঙ্গ বলতে ঠিক কাদের বোঝানো হবে?
সেই প্রশ্নের উত্তরেই এদিন স্পষ্ট করে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, তৃতীয় লিঙ্গ বলতে এখানে শুধু রূপান্তরকামীদেরই বোঝানো হয়েছে ৷ কোনও সমকামী পুরুষ বা স্ত্রী অথবা উভকামীদের এই তৃতীয় লিঙ্গের আওতায় আনা হবে না ৷ তাই সংরক্ষণ সংক্রান্ত সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাবেন শুধুমাত্র রূপান্তরকামীরাই ৷ এই ব্যাখ্যার পাশাপাশি দেশের সর্বোচ্চ আদালত এদিন কেন্দ্রকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তৃতীয় লিঙ্গের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা চালু করতে নির্দেশ দেয়।
advertisement
এলজিবিটি আন্দোলনের কর্মীরা সু্প্রিম কোর্টের এই যু্গান্তকারী সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও অ্যাপেক্স কোর্টের ব্যাখায় তাঁরা সন্তুষ্ট নয় ৷ এলজিবিটি সংগঠন ‘হামসফর’-এর প্রতিষ্ঠাতা অশোক কবির মতে, কোর্টের এই ব্যাখ্যা স্পষ্ট নয় ৷ তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে এটা নির্ধারণ করা হবে কে প্রকৃত রূপান্তরকামী আর কে রূপান্তরকামী নন ৷ যে কেউ নিজেকে রূপান্তরকামী হিসেবে দাবি করে তৃতীয় লিঙ্গের মর্যাদা দাবি করতে পারেন। এই রায়ের পরে বিতর্ক ও সমস্যা দুই বাড়বে বলে মত তাঁর ৷
অশোক কবি আরও বলেন, ‘তফসিলি জাতি-উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর জাতির জন্য যেমন কমিশন রয়েছে, রূপান্তরকামীদের জন্যও তেমন বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হোক।’
কেরলে ইতিমধ্যেই কাদের তৃতীয় লিঙ্গের মর্যাদা পাওয়া উচিত তা নির্ধারণ করার জন্য রূপান্তরকামী কমিশন গঠিত হয়েছে ৷ কেরলকে মডেল করে গোটা দেশে এরকম ব্যবস্থা আনার দাবি তুলেছেন এলজিবিটি আন্দোলনের কর্মীরা ৷